ডিবি পুলিশ সেজে ব্যবসায়ীকে অপহরণের মামলায় ৬ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ
চট্টগ্রামে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সেজে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে ছয় পুলিশ কনস্টেবলের (সাময়িক বরখাস্ত) বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
আজ রোববার বিকেলে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার শুনানি শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া ওই অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
ছয় পুলিশ কনস্টেবল হলেন নগর পুলিশ কমিশনারের দেহরক্ষী মোরশেদ বিল্লাহ, নগর পুলিশের এক উপকমিশনারের দেহরক্ষী মো. মাসুদ, নগরের দামপাড়া রিজার্ভ ফোর্স অফিসে কর্মরত কনস্টেবল শাকিল খান ও এস্কান্দর হোসেন, নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার কর্ণফুলী কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর মনিরুল ইসলাম ও নগর গোয়েন্দা পুলিশে (উত্তর) কর্মরত কনস্টেবল আবদুল নবী। তাঁরা সবাই জামিনে রয়েছেন।
৪ ডিসেম্বর পিবিআই চট্টগ্রামের উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল আব্বাস ওই মামলায় তদন্ত শেষে ছয় কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত তা গ্রহণ করা বিষয়ে শুনানির জন্য রোববার দিন ধার্য রেখেছিলেন।
চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট পরিদর্শক হুমায়ুন কবির আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, পিবিআইয়ের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামি কনস্টেবলরা অপহরণের পর প্রথমে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ গ্রামের ব্যবসায়ী আবদুল মান্নানের কাছ থেকে। পরে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন। এ ঘটনায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি আবদুল মান্নান বাদী হয়ে আনোয়ারা থানায় মামলা করেন। এজাহারে সরকারি কর্মচারীর ছদ্মবেশ ধারণ করে অপহরণ, টাকা দাবি ও হত্যার হুমকি দিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্তে সত্যতা পাওয়ার পর ছয় কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তাঁরা জামিনে মুক্তি পান।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ২টার দিকে কনস্টেবল মাসুদের নেতৃত্বে ছয় পুলিশ সদস্য নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে আবদুল মান্নানের বাড়িতে যান। মাসুদকে ডিবির কর্মকর্তা সাজানো হয়। চারটি মোটরসাইকেলে করে ওই বাড়িতে গিয়ে তাঁরা আবদুল মান্নানকে ঘর থেকে ডেকে তুলে পার্শ্ববর্তী একটি চা–দোকানে নিয়ে যান।
ওই সময় পুলিশ সদস্যরা তাঁকে বলেন, তিনি ও তাঁর ভাই জুয়া ও মাদক ব্যবসা করেন। মামলা থেকে বাঁচতে হলে তাঁদের ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। পরে মান্নান মুক্তিপণের জন্য স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।