ডুবোচরে ধাক্কা খেয়ে ফাটল লঞ্চের তলা, যাত্রীদের উদ্ধার

পদ্মা নদীতে দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চ থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করছেন কোস্টগার্ড সদস্যরা
সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাট থেকে প্রায় ৩০০ যাত্রী নিয়ে এমভি মালেক দরবেশ-১ নামের একটি লঞ্চ শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দি যাচ্ছিল। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ডুবোচরে ধাক্কা লেগে লঞ্চটি এক পাশ কাত হয়ে যায়। খবর পেয়ে কোস্টগার্ডের সদস্যরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে যাত্রীসহ ওই লঞ্চটি উদ্ধার করেন।

কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন কমান্ডার মতিউর রহমান প্রথম আলোকে জানান, দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চটির ধারণক্ষমতা ১৫০ জন। অথচ লঞ্চটি ২৮০-৩০০ জন যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে মাঝিরকান্দি ঘাটে যাচ্ছিল। লৌহজং চ্যানেলের টার্নিং পয়েন্টে পদ্মা সেতুর পিলারের কাছে ডুবোচরে ধাক্কা খেয়ে লঞ্চের তলা ফেটে যায়। এ সময় লঞ্চটি এক পাশ হয়ে ডুবতে বসে। বিউটি বেগম নামে লঞ্চের এক যাত্রী কোস্টগার্ডের নিয়ন্ত্রণকক্ষের (কন্ট্রোল রুম) নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান। ১০ মিনিটির মধ্যে সাতজনের একটি দল নিয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লঞ্চের মধ্যে থাকা সব যাত্রীকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়।
মতিউর রহমান বলেন, লঞ্চের ধারণক্ষমতা ছিল ১৫০ জন। অথচ তারা প্রায় ৩০০ জন যাত্রী বহন করে। পানি কম থাকায় ও বেশি যাত্রী বহন করায় এ ঘটনা ঘটেছে।

তবে শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. শাহদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, লঞ্চটির ধারণক্ষমতা ছিল ১৫০ জনের আর যাত্রী নেওয়া হয়েছিল ১৬৫ জন। ৩০০ যাত্রী লঞ্চে ছিল না। তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী নয়, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নাব্যতা-সংকটের জন্য। ওই স্থানে আরও চারটি যাত্রীবাহী লঞ্চ আটকা পড়েছিল। সব যাত্রীকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।