ডুলাহাজারায় ‘চমক’ উপহার দিল ‘সুমন-সুমনা’

কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে জেব্রা দম্পতির ঘরে আসা নতুন অতিথি ‘চমক’। শনিবার দুপুর ১২টায় পার্কের জেব্রা বেষ্টনীতে
প্রথম আলো

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে সুমন-সুমনার ঘরে এসেছে নতুন অতিথি। এই অতিথির নাম ‘চমক’। আজ শনিবার সকাল ১০টায় এই জেব্রা দম্পতির ঘরে একটি পুরুষ বাচ্চার জন্ম হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের সহকারী ভেটেরিনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, জেব্রার সদ্যোজাত বাচ্চার ওজন প্রায় ৩০ কেজি। বাচ্চাটি পুরোপুরি সুস্থ রয়েছে। পার্কে থাকা অপর জেব্রাটির নাম চম্পা। এ নিয়ে পার্কে জেব্রার সংখ্যা দাঁড়াল চার।

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রামের বিভাগীয় কর্মকর্তা আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াছিন নেওয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, সাফারি পার্কের জেব্রাগুলো আফ্রিকান প্লেন জেব্রা। সংরক্ষিত বেষ্টনী নির্মাণ করার ফলে জেব্রাগুলো আফ্রিকান সাফারি পেয়েছে। জেব্রা খুব স্পর্শকাতর প্রাণী। পরিবেশ পছন্দ না হলে তারা বাচ্চা দেয় না। এই পার্কে প্রথমবারের মতো জেব্রা বাচ্চা প্রসব করেছে। এটি অত্যন্ত খুশির খবর।

শনিবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, সাফারি পার্কের পূর্ব-দক্ষিণ অংশে আড়াই শ একর জায়গায় জেব্রার চারণভূমি তৈরি করা হয়েছে। সদ্যোজাত বাচ্চাটি লাফিয়ে লাফিয়ে মায়ের পেছনে দৌড়াচ্ছে।

সাফারি পার্ক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৮ মে যশোরের শার্শা উপজেলার সাতমাইল গরুর হাট থেকে ৯টি জেব্রা উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের পরপরই একটি জেব্রা মারা যায়। অন্য আটটি জেব্রা গাজীপুরের শ্রীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে নেওয়া হয়। তখন ওই পার্কে আগে থেকে ১৪টি জেব্রা ছিল। চকরিয়ার শেখ মুজিব সাফারি পার্কে কোনো জেব্রা না থাকায় কর্তৃপক্ষ পাঁচটি জেব্রা এই পার্কে হস্তান্তর করে। কয়েক দিনের মধ্যে ওই পাঁচটি জেব্রার মধ্যে একটি মারা যায়। পরবর্তী সময়ে আরও একটি জেব্রা অসুস্থতাজনিত কারণে মারা যায়।

ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের সহকারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জেব্রাগুলো আনার পর আড়াই শ একর জায়গার ওপর বেষ্টনী নির্মাণ করে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর ২০১৯-২০ অর্থবছরে জেব্রার জন্য চারণভূমি সৃজন করা হয়। এতে বাঁশ, শাপলা, কলমি, লতা, মেলনি পাতা, বিডরী পাতা, পিটালী পাতা, ঝাড়ফুল, সান ঘাস, প্যারা ঘাস লাগানো হয়। জেব্রা এসব ছাড়াও ভুসি, গাজর, শসা, ভুট্টা ভাঙা ও ছোলা খেয়ে বাঁচে।