ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ধীরে চলছে যানবাহন, দুর্ভোগ

সড়কে থমকে আছে যানবাহন। রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজধানীর কাওলা এলাকায়।
ছবি: আল-আমিন

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। রোববার সকাল থেকে কোনো যানবাহনই নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনি। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছে ঈদে ঘরমুখী হাজারো মানুষ।

সড়কটির বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার চতুর্থ দিন রোববার সকাল থেকেই সড়কে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ। অনেকে পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে। কিন্তু সকাল থেকেই সড়কটির চান্দনা চৌরাস্তা থেকে রাজধানীর খিলক্ষেত (ময়মনসিংহগামী সড়ক) পর্যন্ত যানজট লেগে আছে। এটুকু অংশে গাড়ি চলছে থেমে থেমে, খুবই ধীরগতিতে। এর মধ্যে বেশি খারাপ অবস্থা খিলক্ষেত থেকে টঙ্গীর চেরাগ আলী পর্যন্ত। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছে দূরদূরান্তে যাতায়াতকারী অনেক মানুষ।

পুলিশ বলছে, গাজীপুরের বিভিন্ন অংশে সড়কটিতে চলছে বিআরটি (বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট) প্রকল্পের কাজ। নির্মাণকাজ চলমান থাকায় সড়কের অনেক জায়গায় লেন সংকুচিত হয়ে পড়েছে। যত্রতত্র পড়ে আছে বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী। বিভিন্ন অংশে রয়েছে গর্ত-খানাখন্দ। এসব কারণে যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে না পারায় সকাল থেকেই যানবাহন চলাচলে ধীরগতি দেখা দিয়েছে।

সকাল ৯টার দিকে সড়কটির চান্দনা চৌরাস্তা থেকে রাজধানীর খিলক্ষেত পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, গাজীপুর অংশে বিভিন্ন জায়গায় চলছে বিআরটি প্রকল্পের কাজ। সড়কের কোথাও ফেলে রাখা হয়েছে ইট-বালু-সিমেন্ট, কোথাও বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী। এর বাইরে রয়েছে গর্ত, খানাখন্দ।

এর মধ্যে টঙ্গীর সেনাকল্যাণ ভবনের সামনে গাড়ি চলছে মাত্র এক লেনে। এতে যান চলাচলে ধীরগতি দেখা দিয়েছে খিলক্ষেত পর্যন্ত। এর মধ্যে কোথাও কোথাও যানবাহনগুলোকে বেশ কিছুক্ষণ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

যানবাহনগুলো চলাচলে ধীরগতি বা একই জায়গায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকায় বিরক্ত অনেক যাত্রী। রাজধানীর আজমপুর এলাকায় কথা হয় কিশোরগঞ্জগামী জলসিঁড়ি পরিবহনের যাত্রী তাবাসসুম প্রিয়ার সঙ্গে।

তাবাসসুম প্রিয়া বলেন, ‘সেই সকালে বাসা থেকে বের হইছি। ভাবছিলাম দুপুরের আগেই বাড়ি পৌঁছাতে পারব। কিন্তু রাস্তার যে অবস্থা, তাতে বিকেলের আগে বাড়ি যেতে পারব কি না সন্দেহ আছে।’

কথা হলে আবদুল্লাহপুর মোড়ের ট্রাফিক পুলিশ বক্সের পরিদর্শক মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘মূলত গাজীপুরে গাড়ি ঢুকছে কম। তাই রাজধানীর ভেতরেও যান চলাচলে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে।’

টঙ্গী স্টেশনরোড পুলিশ বক্সের পরিদর্শক মো. শাহাদাত বলেন, ‘বিআরটি প্রকল্পের কাজের কারণে অনেক জায়গায় স্বাভাবিক লেনে গাড়ি চলতে পারছে না। তাই যান চলাচলে কিছুটা ধীরগতি আছে, তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় কম। তা ছাড়া ঢাকা থেকেও সব গাড়ি গাজীপুরে ঢোকানোর চেষ্টা করা হয়। তাই এ সড়কে একটু বেশি চাপ থাকে।’