ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন ও অনশন করবে কোম্পানীগঞ্জ আ.লীগ

আওয়ামী লীগের লোগো

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জার অপরাজনীতির বিরুদ্ধে এবং নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও গণভবনের সামনে অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।

রোববার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান স্বাক্ষরিত এক সাংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের এক গুরুত্বপূর্ণ সভায় ওই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অপরাজনীতির বিরুদ্ধে এবং কোম্পানীগঞ্জের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও গণভবনের সামনে অনশন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সব নেতা–কর্মীকে কারও উসকানিতে বিভ্রান্ত না হয়ে শান্তিপূর্ণ এবং ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়। তবে কবে ওই কর্মসূচি পালন করা হবে, তা উল্লেখ করা হয়নি বিজ্ঞপ্তিতে।

বেলা দুইটার দিকে খিজির হায়াত খানের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দলীয় সিদ্ধান্ত ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে সন্ধ্যায় জানতে চাইলে খিজির হায়াত খান প্রথম আলোকে বলেন, কোম্পানীগঞ্জের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও গণভবনের সামনে অনশন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগির এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রসঙ্গত, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা গত ৩১ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণাকালে জাতীয় নির্বাচন, নোয়াখালী ও ফেনীর দুই সাংসদের নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলে আলোচনায় আসেন। একপর্যায়ে তিনি বড় ভাই ওবায়দুল কাদের, ভাবি ইশরাতুন্নেসা কাদেরসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধেও নানা বক্তব্য দেন। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগে দ্বিধাবিভক্তি দেখা দেয়।

এসব বক্তব্যের কারণে কাদের মির্জার কাছ থেকে দূরে সরে যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ দলের অনেক নেতা–কর্মী। দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এসব ঘটনায় স্থানীয় এক সাংবাদিকসহ প্রাণ হারান দুজন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন কমপক্ষে ৩০ জন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ দলের নেতারা নিজেদের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর অনুসারী বলে দাবি করে আসছেন।