তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে আসামির ঘোরাঘুরি, গ্রেপ্তার করতে বলায় হুমকি

পটুয়াখালী জেলার মানচিত্র

পুলিশ কর্মকর্তার সামনে মামলার আসামি ঘোরাঘুরি করছিলেন। বাদী ওই আসামিকে ধরতে বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে যান এসআই। উপরন্তু গ্রেপ্তার করতে বলায় আসামিরা আবার বাদীকে মারধর করার হুমকি দিয়েছেন। আজ বুধবার মামলার বাদী পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দা সবুজ জোমাদ্দার এ অভিযোগ করেছেন।

যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেই উপপরিদর্শকের (এসআই) নাম শেখ জাহিদ আলম। তিনি বাউফল থানায় কর্মরত। তাঁর বিরুদ্ধে বাদীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ওই এসআই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

মামলার বাদী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাপে ২১ জুলাই অনুষ্ঠিত বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত আমির হোসেনের নৌকার পক্ষে কাজ করেছিলেন সবুজ জোমাদ্দর। এতে ক্ষুব্ধ ছিলেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এনামুল হক ওরফে আলকাচ মোল্লা ও তাঁর সমর্থকেরা। ওই নির্বাচনে আলকাচ মোল্লা জয়লাভ করেন। ২২ জুলাই রাতে আলকাচ মোল্লার কর্মী-সমর্থকেরা সবুজের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে পিটিয়ে জখম করেন এবং তাঁর বসতঘর ভাঙচুর করেন। স্থানীয় লোকজন সবুজকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ২৬ জুলাই সবুজ বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে বাউফল থানায় মামলা করেন। ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শেখ জাহিদ আলম।

বাদী সবুজ জোমাদ্দার বলেন, অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার কারণে তিনি (জাহিদ আলম) এখনো কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করেননি। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মঙ্গলবার এসআই জাহিদ আলম অন্য একটি মামলার তদন্ত করার জন্য চন্দ্রদ্বীপে যান। ওই সময় আসামি নজরুল ইসলাম (২২) এসআইয়ের পাশে ছিলেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করতে বলায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং প্রকাশ্যে তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এর পর থেকে ওই আসামিসহ অন্য আসামিরা তাঁকে আবার মারধরের হুমকি দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে এসআই শেখ জাহিদ আলম বলেন, তিনি অন্য একটি মামলার তদন্ত করার জন্য গিয়েছিলেন। তখন কোনো আসামি তাঁর কাছাকাছি ছিলেন না। আসামিদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, এমনটি হওয়ার কথা নয়। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।