তদন্তভার পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে সিআইডির ডিআইজি

পরিদর্শন শেষে ডিআইজি মাঈনুল হাসান বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ পেশাদারি ও দক্ষতা দিয়ে মামলাটির তদন্তকাজ দ্রুত শেষ করব। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে যাদের দোষ পাওয়া যাবে, তাদের প্রত্যেককে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’

সিআইডির ডিআইজি মাঈনুল হাসান শনিবার নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন
প্রথম আলো

নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লার বাইতুস সালাত জামে মসজিদ এলাকা পরিদর্শন করেছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মাঈনুল হাসান। বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তদন্তভার এখন সিআইডির হাতে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে তাঁর নেতৃত্বে সিআইডির একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাঁরা মসজিদের ভেতরে ঘুরে দেখেন।


এ সময় ডিআইজির সঙ্গে ছিলেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) টিএম মোশাররফ হোসেনসহ পুলিশ ও সিআইডির কর্মকর্তারা।

পরিদর্শন শেষে ডিআইজি মাঈনুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। এ ঘটনায় ৩১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় পুলিশ মামলা করেছে। মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডির ওপর দায়িত্ব পড়েছে। আমরা সর্বোচ্চ পেশাদারি ও দক্ষতা দিয়ে মামলাটির তদন্তকাজ দ্রুত শেষ করব। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে যাদের দোষ পাওয়া যাবে, তাদের প্রত্যেককে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি মাঈনুল হাসান বলেন, ‘মামলা কেবল রুজু হয়েছে। আমরা এসেছি ঘটনাস্থল দেখার জন্য। এটার তদন্তকাজও অগ্রসর হবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার বা জিজ্ঞাসাবাদ করব। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, গ্যাস থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তদন্ত অগ্রসর হলে পুরো ঘটনাটি বোঝা যাবে।’ আলামত পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস, তিতাস গ্যাসসহ আমাদের নিজস্ব ফরেনসিক আছে যাদের, তাদের তত্ত্বাবধানে আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজনের সাক্ষ্য গ্রহণ, আলামত যেগুলো আছে সেগুলো ফরেনসিক বিভাগে পরীক্ষা করা হবে। সবকিছু মিলিয়ে যে ধরনের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাবে, সেগুলো নিয়ে আমরা তদন্তকাজ সম্পন্ন করব।’

সিআইডির ডিআইজি মাঈনুল হাসান শনিবার নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন
প্রথম আলো

৪ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে এক শিশুসহ ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস, জেলা প্রশাসন, তিতাস গ্যাস, ডিপিডিসি ও সিটি করপোরেশন পৃথক পাঁচটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।