তরুণীকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালানোর অভিযোগ পরিবারের

রূপগঞ্জ থানার এসআই বলেন, বৃষ্টি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন, এমন খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করতে যায় পুলিশ। তাঁর শরীরে ফাঁস বা আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বৃষ্টি আক্তার (১৯) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই উপজেলায় মমতাজ বেগম নামের এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই আরেকজনের লাশ পাওয়া গেল।

নিহত বৃষ্টি আক্তার ওই এলাকার আবু বকরের স্ত্রী ও চনপাড়া ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী আবু বকর, শাশুড়ি নাসিমা বেগম ও ফুফু শাশুড়ি নূর জাহানকে আটক করেছে পুলিশ।


লাশ উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলে থাকা রূপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, বৃষ্টি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন, এমন খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করতে যায় পুলিশ। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর লাশ বিছানায় শোয়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর শরীরে ফাঁস বা আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬ মাস আগে আবু বকরের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় বৃষ্টির। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বৃষ্টিকে নির্যাতন করতেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজন বৃষ্টিকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাইছেন বলে তাদের অভিযোগ।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, লাশের অবস্থা দেখে আত্মহত্যা বলে মনে হয়নি। মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য বৃষ্টির লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।


৩১ আগস্ট রাত ২টার দিকে রূপগঞ্জের তারাব এলাকা থেকে মমতাজ বেগম (৩৮) নামের এক নারীর হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে রূপগঞ্জ থানা-পুলিশ। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নিহতের স্বামী রঞ্জুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।