তল্লাশিচৌকি দেখে পিকআপভর্তি ভারতীয় পণ্য রেখেই পালাল তিন চোরাকারবারি

সিলেটের জৈন্তাপুরে অস্থায়ী তল্লাশিচৌকি বসিয়ে উদ্ধার করা হয় পিকআপ ভ্যানভর্তি ভারতীয় চোরাই পণ্য। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং সীমান্ত থেকে পিকআপ ভ্যানভর্তি ভারতীয় পণ্য নগরে নিয়ে আসছিল একদল চোরাকারবারি। এমন খবর পেয়ে বুধবার মধ্যরাতে জৈন্তাপুরে অস্থায়ী তল্লাশিচৌকি স্থাপন করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

ভোরে তল্লাশিচৌকির ওপাশে একটি পিকআপ ভ্যান দফায় দফায় পথ পরিবর্তনের চেষ্টা করছিল। তল্লাশিচৌকির পুলিশ সদস্যরা ধাওয়া করতেই পিকআপ ভ্যান রেখে পালিয়ে যায় তিন চোরাকারবারি। ফেলে যাওয়া ওই পিকআপ ভ্যানে তল্লাশি করে পাওয়া যায় ভারত থেকে আনা ১০ লাখ টাকার পণ্যসামগ্রী। বৃহস্পতিবার ভোরে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুরের হরিপুর এলাকায় তল্লাশিচৌকি বসিয়ে এভাবেই উদ্ধার করা হয়েছে চোরাইপথে আনা ভারতীয় পণ্য।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মৌসুম পরিবর্তন হওয়ায় ভারতীয় প্রসাধনসামগ্রীসহ নানা রকম চোরাই পণ্য আসতে পারে বলে চোরাচালানবিরোধী অভিযানে সক্রিয় আছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তল্লাশিচৌকি দেখে চোরাকারাবারিরা পিকআপ ভ্যান রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার (উত্তর) এসআই সুজিত চক্রবর্তী বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। পলাতক তিন চোরাকারবারিকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

জেলা পুলিশ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তল্লাশিচৌকি থেকে পিকআপ ভ্যানটি ধাওয়া করা হলে চালকসহ তিনজন পালিয়ে যায়। পিকআপ ভ্যানে তল্লাশি করে ভারতীয় প্রসাধনসামগ্রী, জুতা, কাপড়সহ বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যায়। এসব পণ্যের বর্তমান বাজারমূল্য ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করে পিকআপ ভ্যানটি (সিলেট মেট্রো-ন-১১-০৭৫৫) জব্দ করা হয়েছে।