তানোর ও গোদাগাড়ীতে আ.লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর ছড়াছড়ি

নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে রাজশাহীর তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলার মোট ১৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গতকাল রোববার ছিল চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।

এর মধ্যে তানোরের ৭টি  ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩৪ জন ও গোদাগাড়ীর ৯টি ইউনিয়নে ৩৮ জন চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এদিকে দুই উপজেলায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছাড়াও দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

দুই উপজেলা মিলিয়ে মোট ২৪ জন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আছেন। এর মধ্যে তানোরে ৯ জন আর গোদাগাড়ীতে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ১৫ জন। তানোর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা এবং গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুই উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, কয়েকটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থীও রয়েছেন। এর মধ্যে আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সানাউল্লাহসহ আওয়ামী লীগের চারজন বিদ্রোহী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া মোহনপুর ও মাটিকাটা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের তিনজন করে এবং তালন্দ ইউনিয়নে দুজন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন।

তানোরের কলমা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সরকারদলীয় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীর চাচাতো ভাই ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খাদেকুন্নবী বাবু চৌধুরী।

খাদেকুন্নবী বাবু চৌধুরী বলেন, এলাকার ভোটার আর নেতা–কর্মীদের চাপে পড়েই তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এলাকাবাসী মনে করেন, তিনি দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতা। ফলে তিনি এলাকার মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারবেন।

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার প্রথম আলোকে বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ যাঁদেরকে মনোনীত করেছে, তাঁরাই দলের প্রার্থী। এর বাইরে দল থেকে দাঁড়ালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শুধু বহিষ্কার নয়, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাঁরা মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে ভোট করছেন, তাঁরা নৌকা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন।