তারাগঞ্জে চাল আত্মসাতের অভিযোগে ইউপি সদস্য বরখাস্ত

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মমিনুর রহমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ করা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ করা ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের ১৮টি মাসিক সভাসহ ২৪টি সভায় অনুপস্থিত থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সয়ার ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মমিনুর রহমান ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা হতদরিদ্র দুলাল হোসেন ও অহিদা বেগমের নামে থাকা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডের চাল অন্য লোকের মাধ্যমে কৌশলে উত্তোলন করে দীর্ঘদিন ধরে আত্মসাৎ করে আসছেন। বিষয়টি জানতে পেরে গত ২ অক্টোবর তাঁরা ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর ইউএনও ঘটনা তদন্তের জন্য দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দেন।

ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্তের জন্য গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তরিকুল ইসলাম ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম। ঘটনা তদন্ত করে ওই দুই কর্মকর্তা ১০ অক্টোবর ইউএনওর কাছে প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ইউএনও আমিনুল ইসলাম ১৫ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন দেন। জেলা প্রশাসক আসিব আহসান ২০ অক্টোবর ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে সুপারিশ করেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী ২৪ নভেম্বর ওই ইউপি সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন।

আমিনুল ইসলাম বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাতের ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হওয়া ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের ১৮টি সভাসহ মোট ২৪টি সভায় অনুপস্থিত থাকায় ওই ইউপি সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

তবে মমিনুর রহমান বলেন, ‘আমি তো কোনো অনিয়ম করিনি। এখনো কোনো চিঠিও পাইনি। আমাকে বরখাস্তের কথাও কারও মুখে শুনিনি।’