তালাকের নোটিশ পেয়ে স্ত্রীকে অ্যাসিডে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ

অ্যাসিড সন্ত্রাস
প্রতীকী ছবি

সদ্য তালাকপ্রাপ্ত স্বামীর ছোড়া অ্যাসিডে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কামারদহ গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে নার্গিস আক্তার ওরফে নূপুর (২৮) ঝলসে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই তাঁকে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় ওই নারীর সাবেক স্বামী আবু তালেবকে (৩৮) পুলিশ আজ মঙ্গলবার ভোরে আটক করেছে।

বড়াইগ্রাম থানা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে বড়াইগ্রামের আহম্মদপুর গ্রামের আবু তালেব একই উপজেলার কামারদহ গ্রামের নার্গিস আক্তার ওরফে নূপুরকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর বাবার বাড়িতেই তালেবকে নিয়ে সংসার শুরু করেন নূপুর। তবে বিয়ের পর নূপুর জানতে পারেন, তালেব ডাকাতিসহ একাধিক মামলার আসামি। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত।

এক সপ্তাহ আগে নূপুর তাঁর স্বামীকে তালাক দেন। তালাকের নোটিশ পেয়ে আবু তালেব ক্ষিপ্ত হন। গতকাল সন্ধ্যার পর তিনি শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে নূপুরকে বাড়ির বাইরে ডাকেন। তিনি বাইরে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে অ্যাসিড ছুড়ে পালিয়ে যান তালেব। নূপুরের চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে রাতেই তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তাঁকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

নূপুরের বাবা আনোয়ার হোসেন একজন চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বলেন, অ্যাসিডে তাঁর মেয়ের মুখমণ্ডলের একাংশ ও শরীরের বাঁ পাশের কিছু অংশ ঝলসে গেছে। বাঁ চোখ দিয়ে তাঁর মেয়ে দেখতে পাচ্ছে না। আজ দুপুরে চিকিৎসকেরা বিস্তারিত জানাবেন বলে তিনি জানান।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। তবে খবর পাওয়ার পরপরই নূপুরের স্বামী আবু তালেবকে ধরতে পুলিশ তৎপর হয়। আজ ভোরে তাঁকে আটক করা হয়েছে।