তালায় মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ

বাল্যবিবাহ
প্রতীকী ছবি

সাতক্ষীরার তালায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর ও পুলিশের হস্তক্ষেপে একটি বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়েছে। এর ফলে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী ও দশম শ্রেণির এক ছাত্র বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে।

তালা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, উপজেলার খলিশখালি ইউনিয়নে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে দশম শ্রেণির এক ছাত্রের বাল্যবিবাহ হতে যাচ্ছে—গতকাল বুধবার গোপন মাধ্যমে এমন সংবাদ পাওয়ার পর তাঁরা মেয়ে ও ছেলের বাড়িতে যান। কিন্তু বাল্যবিবাহের কথা অভিভাবকেরা অস্বীকার করেন। বাধ্য হয়ে তাঁরা পুলিশের শরণাপন্ন হন। আজ দুপুর ১২টার দিকে যখন গোপনে বিয়ের আয়োজন চলছিল, তখন খলিশখালি পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম সেখানে হাজির হয়ে বর, কনেসহ তাদের অভিভাবকদের আটক করে তাঁর দপ্তরে নিয়ে আসেন।

জন্মসনদ অনুয়ায়ী ছেলের বয়স ১৬ বছর ও মেয়ের বয়স ১৪ বছর বলে প্রমাণিত হয়। বর ও কনের অভিভাবকেরা এ বিয়েতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন।

নাজমুন নাহার আরও বলেন, জন্মসনদ অনুয়ায়ী ছেলের বয়স ১৬ বছর ও মেয়ের বয়স ১৪ বছর বলে প্রমাণিত হয়। বর ও কনের অভিভাবকেরা এ বিয়ে তাঁদের অজান্তে হচ্ছিল বলে জানান। একপর্যায়ে সাজার কথা জানালে বর ও কনের মা–বাবা নির্ধারিত বয়সের আগে তাঁদের ছেলে-মেয়েকে বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান। পরে ছেলে ও মেয়েকে তাদের মা–বাবার জিম্মায় দিয়ে দেওয়া হয়।