ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের পন্টুন স্থাপনের কাজে (বিআইডব্লিউটিএ) আওয়ামী লীগের সাবেক এক নেতা বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার তিতাস নদের কাউতলী নৌকাঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
ওই নেতার নাম মাহমুদুল হক ভূঁইয়া। গত ফেব্রুয়ারিতে মাহমুদুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হন। এ জন্য তাঁকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে পন্টুন স্থাপনে জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য একটি ভেকু যন্ত্র নিয়ে কাউতলীতে যান ভৈরব বন্দরের সহকারী সমন্বয় কর্মকর্তা আবদুল মোতালিব। পাঁচ মাস আগেই সেখানে পন্টুনটি এনে রাখা হয়েছে। এ সময় মাহমুদুল হক, তাঁর লোকজন ও কাউতলী বাজার কমিটির লোকজন বাধা দেন।
জানা গেছে, তিতাস নদের শাখা এন্ডারসন খালের কাউতলী বাজার এলাকায় পন্টুন স্থাপন করা হবে। এ জন্য ১২ সেপ্টেম্বর বিআইডব্লিউটিএর আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার নদীবন্দরের উপপরিচালক শহীদ উল্ল্যাহ কাউতলী বাজার এলাকায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা সরানো জন্য ব্যবসায়ীদের চিঠি দেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবেন। কিন্তু ওই দুদিন কাউতলী বাজার এলাকায় কোনো অভিযান চালানো হয়নি।
গত ১৬ জুন মাহমুদুল হক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও অভিযান প্রসঙ্গে বিআইডব্লিউটিএকে একটি চিঠি দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, কাউতলী বাজারে যেখানে পন্টুন স্থাপন করা হচ্ছে, তা সরকারি জায়গা নয়। তিনি বলেন, ‘ আগে সরকারি রাস্তা বের করে পন্টুন স্থাপন করা হোক।’
বিআইডব্লিউটিএর আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার নদীবন্দরের উপপরিচালক শহীদ উল্ল্যাহ বলেন, গতকাল একটি ভেকু মেশিন কাউতলী পাঠানো হয়েছিল। সরকারি জায়গায় পন্টুন স্থাপন করে যাত্রীদের চলাচলের রাস্তা করা হবে।