তিন দিন পর বাবার কাছে লাশ ফেরত দিল ভারতীয় পুলিশ

লাশ
প্রতীকী

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর সীমান্তের ওপারে ভারতীয় রক্ষীবাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি তরুণের লাশ ফেরত দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার একই সীমান্তে ভারতের মেকলিগঞ্জ থানার পুলিশ লাশটি তাঁর বাবার কাছে হস্তান্তর করে।

ওই তরুণ হলেন জাহিদুল ইসলাম (২২)। তিনি শ্রীরামপুর ইউনিয়নের মধ্য ইসলামপুর গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে। গত বুধবার ভারতের রতনপুর গ্রামে জাহিদুলকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, উভয় পক্ষের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লাশ ফেরত আনা হয়েছে।

উভয় পক্ষের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লাশ ফেরত আনা হয়েছে।
সুমন কুমার মহন্ত, ওসি, পাটগ্রাম থানা

সীমান্ত এলাকার লোকজন ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, বুধবার শ্রীরামপুর গ্রামে সীমান্তের ৮৫২ নম্বর মেইন পিলারের ৫ নম্বর উপপিলারের পাশ দিয়ে গরু পারাপারকারী দলের কয়েকজন বাংলাদেশি সদস্য ভারতের কোচবিহারের রতনপুর ও কৌশিক গ্রামে যান। তাঁরা ভারতীয় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গরু নিয়ে একই সীমান্ত দিয়ে ফিরছিলেন। ভোরে ভারতের রানীনগর ১৪০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের রতনপুর ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের ধাওয়া করে গুলি ছোড়ে। এতে জাহিদুল বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। বিএসএফ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ময়নাতদন্তের জন্য বেলা একটার দিকে লাশটি মেকলিগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।

আজ বেলা দেড়টার দিকে শ্রীরামপুর সীমান্তের ৮৫২ নম্বর মেইন পিলারের কাছে জাহিদুলের লাশ তাঁর বাবা দুলাল হোসেনের কাছে হস্তান্তর করে ভারতের পুলিশ। এ সময় ভারতের কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহারের মেকলিগঞ্জ মহকুমার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, রানীনগর ১৪০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের রতনপুর ক্যাম্পের কমান্ডার ও মেকলিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত ও রংপুর-৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের শমসেরনগর বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আজহারুল।