তিন মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে দেলোয়ার

রিমান্ডের আবেদনের শুনানির জন্য আজ দোলোয়ার হোসেনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। দুপুরে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে
সংগৃহীত

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় তিনটি মামলায় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেনকে সাত দিন পুলিশের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের (রিমান্ড) অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাশফিকুল হক শুনানি শেষে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের মামলায় পুলিশ দেলোয়ারকে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানায়। আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আবেদনের বিপরীতে এক দিন করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি মেলে। এ তিনটি মামলাই তদন্ত করছে বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ।

আদালতে দেলোয়ারকে তিনটি মামলায় ১৭ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। শুনানি শেষে দুপুরে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কামরুজ্জামান সিকদার, ওসি, বেগমগঞ্জ থানা

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান সিকদার প্রথম আলোকে বলেন, দেলোয়ার হোসেনকে তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সকালে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতে তাঁকে তিনটি মামলায় ১৭ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। শুনানি শেষে দুপুরে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি সাইফুল ইসলাম রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন। তিনিও জানিয়েছেন, আদালত শুনানি শেষে দেলোয়ারকে ধর্ষণের মামলায় পাঁচ দিন, অস্ত্র মামলায় এক দিন ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় এক দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

গত ২ সেপ্টেম্বর বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নে এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ধারণ করে দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা। পরে তাঁরা ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে একাধিকবার কুপ্রস্তাব দেন। তাতে রাজি না হওয়ায় ৪ অক্টোবর বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিওচিত্রটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা তৈরি হয়।

ওই রাতেই নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে দেলোয়ারকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে র‍্যাবের একটি দল। ৬ অক্টোবর ওই গৃহবধূ দেলোয়ারসহ দুজনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। এ ছাড়া দেলোয়ারের বিরুদ্ধে আগের একটি হত্যা এবং অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের তিনটি মামলা ছিল।