তিস্তা চুক্তি সই করাসহ ছয় দফা দাবিতে ২৩০ কিলোমিটারে ‘স্তব্ধ কর্মসূচি

রংপুরে তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন ও তিস্তা চুক্তি সই করাসহ ৬ দফা দাবিতে তিস্তা নদীর দুই তীরে ১০ মিনিটের স্তব্ধ কর্মসূচি। আজ বুধবার দুপুরে গংগাচড়া উপজেলার মহিপুর এলাকা থেকে তোলা
প্রথম আলো

তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন, তিস্তা চুক্তি সই করাসহ ছয় দফা দাবিতে তিস্তা নদীর দুই পাড়ে দীর্ঘ ২৩০ কিলোমিটার এলাকার হাটবাজারে ১০ মিনিটের ‘স্তব্ধ কর্মসূচি’ পালিত হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে ১১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তিস্তা নদীর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৩১৫ কিলোমিটার। বাংলাদেশ অংশে প্রবাহিত প্রায় ১১৫ কিলোমিটার। এই ১১৫ কিলোমিটারের দুই পাড়ে মোট ২৩০ কিলোমিটার এলাকার হাটবাজারে একযোগে এ ‘স্তব্ধ কর্মসূচি’ হয়েছে। কর্মসূচির বিস্তৃতি ছিল তিস্তা নদীর প্রবেশমুখ বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে রংপুর দিয়ে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর ঘাট (এখানে তিস্তা ব্রহ্মপুত্রে মিলেছে) পর্যন্ত।

কর্মসূচির বিস্তৃতি ছিল তিস্তা নদীর প্রবেশমুখ বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে রংপুর দিয়ে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর ঘাট (এখানে তিস্তা ব্রহ্মপুত্রে মিলেছে) পর্যন্ত।

রংপুরের পীরগাছা উপজেলার তারাবাজারের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী। রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার শেখ হাসিনা সেতুর উত্তর প্রান্তের কর্মসূচিতে ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য তুহিন ওয়াদুদ। লালমনিরহাটের কালিরহাটের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান।

এ ছাড়া বিভিন্ন পয়েন্টে স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য শফিকুল ইসলাম, আমিন উদ্দিন, মোজাফফর হোসেন, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, মাহমুদ আলম, মাহাবুব আলম, আমিনুর রহমান, আবদুন নুর দুলাল, বখতিয়ার হোসেনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, ‘তিস্তা নদীকে রক্ষা করতে হবে। এই নদী বাঁচলে নদীপাড়ের মানুষ বাঁচবে।’

কর্মসূচিতে তুলে ধরা দাবিগুলো হচ্ছে তিস্তা নদী সুরক্ষায় মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন ও অভিন্ন নদী হিসেবে ভারতের সঙ্গে ন্যায্য হিস্যার ভিত্তিতে তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন করা, তিস্তার ভাঙন–বন্যা ও খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ, ভাঙনের শিকার ভূমিহীনদের পুনর্বাসন, তিস্তাতীরবর্তী কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষায় কৃষক সমবায় ও কৃষিভিত্তিক শিল্পকারখানা গড়ে তোলা, তিস্তা নদীতে পুনরায় নৌ চলাচল চালু এবং তিস্তাপাড়ের মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।