নীলফামারী জেলায় তিস্তা নদীর পানির প্রবাহ কিছুটা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে সুস্বাদু বৈরালি মাছ। রুপালি এ মাছের ঝিলিকে এখন হাসছেন তিস্তাপারের জেলেরা।
প্রায় ২০ বছর ধরে তিস্তা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন লালমনিরহাট জেলার গুড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানী গ্রামের রহমত আলী (৫৫)। গতকাল রোববার দুপুরে তিস্তা ব্যারাজের ভাটিতে মাছ ধরার সময় কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, এখন নদীতে পানিপ্রবাহ কিছুটা বেড়েছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাছও ধরা পড়ছে। তিস্তা নদীতে মাছ ধরার এটাই আসল সময়। বর্ষায় অতিরিক্ত পানির কারণে মাছ ধরা যায় না।
একই গ্রামের আবদুল জলিল (৫০) বলেন, কয়েক বছর ধরে নদীতে মাছ পাওয়া যাচ্ছিল না। এবার কয়েক দিন ধরে তিস্তায় পানি বাড়ার কারণে মাছ পাওয়া যাচ্ছে। এখন প্রত্যেক জেলে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা আয় করছেন।
তিস্তা ব্যারাজের ভাটিতে মাছ ধরতে আসা জয়নাল আবেদীন (৪০) বলেন, প্রায় ২০ বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে জড়িত তিনি। প্রতিবছর এ সময়ে নদীর পানি এতটা তলানিতে নামে যে তখন আর মাছ পাওয়া যায় না। এবার প্রায় এক মাস ধরে পানিপ্রবাহ বেড়েছে। আর তাতেই মাছ পাওয়া যাচ্ছে।
স্থানীয় জেলেরা জানান, তিস্তায় বৈরালি ছাড়াও ধরা পড়ছে বোয়াল, বাগাড়, আইড়, কালবাউশ, রিঠাসহ নানা প্রজাতির মাছ। আর এসব মাছ বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। নদীর পাড় থেকে মাছ ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা সরাসরি এসব মাছ সংগ্রহ করছেন জেলেদের কাছ থেকে। প্রতি কেজি বৈরালি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকায়।