তুলে নেওয়ার পর মিজানুরকে গ্রেপ্তার দেখাল পুলিশ

মিজানুর রহমান বাদল
ফাইল ছবি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে নোয়াখালীর প্রেসক্লাব এলাকার একটি চা–দোকানের সামনে থেকে তাঁকে একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নেওয়া হয়েছে। পরিবারের দাবি ছিল, সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিরা তাঁকে তুলে নিয়ে যায়।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মিজানুরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তা পরে ঠিক করা হবে।

তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মিজানুর রহমান কয়েকজন নেতা-কর্মীসহ প্রেসক্লাবের পশ্চিম পাশের রেডক্রিসেন্ট মার্কেটের একটি চা-দোকানে চা পান করছিলেন। এ সময় একটি কালো রঙের মাইক্রোবাস এসে সেখানে দাঁড়ায়। প্রায় এক মিনিট পর ওই মাইক্রোবাস থেকে কয়েকজন বের হয়ে মিজানুর রহমানকে তুলে নেয়। এরপর মাইক্রোবাসটি জেলা জজ আদালতের সড়ক হয়ে পশ্চিম দিকে শহরের মূল সড়কের দিকে চলে যায়।

মিজানুরকে তুলে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য একটি প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, একটি কালো রঙের মাইক্রোবাস থেকে কয়েকজন লোক বের হয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন।

মিজানুর রহমানের ছোট ভাই রহিম উল্যাহ ওরফে বিদ্যুৎ আজ সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, বিকেল সোয়া চারটার দিকে তাঁর বড় ভাইকে ডিবি পুলিশ জেলা শহর মাইজদীর একটি দোকানের সামনে থেকে তুলে নিয়ে গেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। ভাইয়ের ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ধরেননি।
তবে সন্ধ্যা ছয়টায় ফেসবুকে মিজানুর রহমানের একটি পোস্ট পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেন রহিম উল্যাহ। মিজানুর রহমান লিখেছেন, ‘সবাই ধৈর্য ধরুন। দেহে একবিন্দু রক্ত থাকতেও প্রিয় নেত্রী ও প্রিয় নেতার অপমান আমরা সইব না। কোম্পানীগঞ্জকে অপশাসনের হাত থেকে মুক্ত করব ইনশাআল্লাহ। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। দেখা হবে মুক্ত কোম্পানীগঞ্জে।’

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট বাজারে আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদল সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি মারা যান। ৯ মার্চ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে রাত ৯টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে পুনরায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আলা উদ্দিন নামের যুবলীগের এক কর্মীও মারা যান।