তৃতীয় নিলাম বাজার স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে

চা শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত অংশীজনদের মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে
প্রথম আলো

বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলাম বলেছেন, দেশের সর্বোত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের সমতল ভূমিতে চা চাষের বিপ্লব ঘটেছে। এই অঞ্চলে চায়ের তৃতীয় অকশন মার্কেট (নিলাম বাজার) স্থাপনের জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি (সম্ভাব্যতা যাচাই) করা হবে। এ বিষয়ে পরিকল্পনাও এগিয়ে যাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সকালে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে উত্তরবঙ্গে চা–শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত অংশীজনদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

জহিরুল ইসলাম বলেন, এই এলাকার চা–চাষি এবং কারখানার মালিকদের নিলাম বাজার স্থাপনের দাবির বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হবে। কোনো এলাকায় চায়ের নিলাম বাজার স্থাপন করতে সেখানকার চায়ের উৎপাদন ও মান বৃদ্ধির পাশাপাশি সেটি স্থাপনের জন্য নিজস্ব জমি-জায়গা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে ওই নিলাম বাজার থেকে কারা তৈরি চা কিনবেন (ব্রোকার্স), সে বিষয়ও বিবেচনায় রাখতে হবে। বিটি-২ সিরিজের চা চাষের ওপর গুরুত্ব দিয়ে চায়ের মূল্যসহ নানা বিষয়ে চাষিদের জানানোর জন্য আধুনিক ব্যবস্থা তৈরি করা হবে বলেও জানান চা বোর্ডের চেয়ারম্যান।

চা বোর্ডের চেয়ারম্যান আরও বলেন, চাষিদের ঋণসহায়তা ও প্রণোদনার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। এ ছাড়া কাঁচা চা–পাতা বিক্রির ক্ষেত্রে ‘দুটি পাতা একটি কুঁড়ি’ অনুসরণ করতে চা–চাষিদের প্রতি অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি কারখানার মালিকদের নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত চায়ের মান যাচাইয়ের জন্য টি-টেস্টিং সেন্টার স্থাপনের তাগিদ দেন।

পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত, পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ চা বোর্ডের পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শামীম আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।