তৃতীয়বারের মতো একই স্থানে দেবে গেল সড়কটি

গাজীপুরের কাপাসিয়ার দস্যুনারায়ণপুর এলাকায় শ্রীপুর-কাপাসিয়া আঞ্চলিক সড়কের দেবে যাওয়া অংশের ছবি। গত বৃহস্পতিবার তোলা।  প্রথম আলো
গাজীপুরের কাপাসিয়ার দস্যুনারায়ণপুর এলাকায় শ্রীপুর-কাপাসিয়া আঞ্চলিক সড়কের দেবে যাওয়া অংশের ছবি। গত বৃহস্পতিবার তোলা। প্রথম আলো

আবারও দেবে গেছে গাজীপুরের শ্রীপুর ও কাপাসিয়াকে সংযোগকারী আঞ্চলিক সড়কটির কাপাসিয়ার দস্যুনারায়ণপুরের একটি অংশ। এ নিয়ে গত ১৬ বছরে তিনবার একই স্থানে সড়কটি দেবে গেল। গত বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত দেবে যাওয়া অংশটিতে প্রায় ৪ ইঞ্চি খাদের সৃষ্টি হয়েছে।

যান চলাচলে খুব বেশি সতর্ক থাকতে হচ্ছে চালকদের। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ স্থানটিকে বিশেষ নজরদারিতে রেখেছে।

বৃহস্পিতবার সকালে শ্রীপুর-কাপাসিয়া আঞ্চলিক সড়কের দস্যুনারায়ণপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে সড়কের এক পাশে মাঝারি আকারের ফাটল। অন্তত ৪ ইঞ্চি নিচের দিকে নেমে গেছে। এর আরও কয়েকটি অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। সড়কের দুই পাশেই সওজ কর্তৃপক্ষ সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে। সেখানে লেখা ‘সয়েল সেটেলমেন্ট চলিতেছে’। কাপাসিয়া থেকে শ্রীপুর ও শ্রীপুর থেকে কাপাসিয়াগামী ছোট-বড় যানবাহনগুলো ফাটল দেখা দেওয়া স্থানে এসে গতি একদমই কমিয়ে দিচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই এই অংশে কিছুটা ফাটল দৃশ্যমান হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। এর আগে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি ও তার আগে ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বড় ধরনের ধসের ঘটনা ঘটেছিল একই স্থানে।

মো. ওলি নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সড়ক সংস্কার করা হয়েছে সাত মাসের মতো হয়। প্রায় দেড় মাস আগে থেকে এখানে ফাটল দেখা দেয়। প্রথমে ছোট ফাটল ছিল। পরে দিনের পর দিন এর ফাটল বড় হতে থাকে। সড়কের মাঝখানে বড় ফাটল দেখা দেওয়ায় সেখানে পিচ দিয়ে জোড়া লাগানো হয়েছে।

সিরাজুল হক নামের আরেক বাসিন্দা জানান, বারবার একই জায়গায় দেবে যাচ্ছে সড়কটি। এর আগে দুবার দেবে গিয়েছিল।

জহিরুল ইসলাম বলেন, এর আগে ২০১৮ সালে দেবে যাওয়ায় স্থানীয়রা ভেবেছিল নদীর বালু উত্তোলনে হয়তো ভেঙেছে। কিন্তু এখন এখান থেকে আর বালু উত্তোলন করা হচ্ছে না। তবু ভেঙে গেছে। তিনি বলেন, পরীক্ষা করে দেখা দরকার নিচে কোনো খনি আছে কি না।

গাজীপুর সওজ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম গতকাল শনিবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ওই স্থানটি পর্যবেক্ষণ করছি। সেখানে বুয়েটের সহযোগিতা নিয়ে বিষয়টি ভালোভাবে জেনে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সড়কটির ওই অংশ দেখে মনে হচ্ছে এটি অনেক গভীর থেকে ধসে পড়ছে। এ জন্য এটি আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’