দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক

ঝালকাঠি জেলার মানচিত্র

মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল বন্ধের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার পর থেকে এসব রুটে বাস চলাচল করতে শুরু করে।

এর আগে এসব রুটে চলাচলকারী বাস মালিক সমিতির সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক জহুর আলী। বৈঠকে উপস্থিত থাকা ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন জানান, বৈঠকে মহাসড়কে তিন চাকার যান বন্ধের বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি জানান সমিতির নেতারা। তখন জেলা প্রশাসক এসব যান বন্ধের ব্যাপারে আশ্বাস দেন।

আজ সকাল ১০টার পর থেকে বরিশাল-ঝালকাঠি, পিরোজপুর, ভান্ডারিয়া, কাউখালী, মঠবাড়িয়া, আমুয়া, বরগুনার পাথরঘাটা, বাগেরহাট ও খুলনাগামী রুটে বাস চলাচলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডাকা হয়।

তখন নাসির উদ্দিন অভিযোগ করেছিলেন, সকাল নয়টার দিকে ঝালকাঠির ছত্রকান্দা এলাকায় বাস মালিক সমিতির সদস্য গোলাম রসুল বরিশাল-ঝালকাঠি-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে টেম্পো চলাচলে বাধা দেন। এই মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল নিষিদ্ধ। এরপরও টেম্পোচালকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে রসুলকে মারধর করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের জরুরি সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১০টি রুটে বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।

বরিশাল-পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির সম্পাদক কাওছার হোসেন জানান, ধর্মঘট চলার সময় ঝালকাঠির বাসশ্রমিকেরা জেলাটির প্রবেশদ্বার রায়পুর এলাকায় অবস্থান নিয়ে বরিশালের বাস ঝালকাঠিতে ঢুকতে দেননি। এতে বরিশাল থেকে ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও খুলনা রুটের বাস চলাচলও বন্ধ থাকে।