দগ্ধ ৪৯টি লাশই পড়ে ছিল চারতলায়: ফায়ার সার্ভিস

ভবনটির ষষ্ঠ তলায় উদ্ধার কাজে ব্যস্ত ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। আজ শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকায়
ছবি: দিনার মাহমুদ

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেছেন, হাসেম ফুড কারখানা থেকে দগ্ধ ৪৯টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সব কটি লাশ পড়ে ছিল চারতলায়। চারতলা থেকে এসব লাশ উদ্ধার করা হয়।

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন তিনি।

জিল্লুর রহমান বলেন, ভবনের কিছু কিছু ফ্লোর তালাবদ্ধ ছিল বলে জানতে পেরেছেন। তবে তদন্তের আগে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব হবে না।

আগুনের সূত্রপাত বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন, কোথা থেকে আগুন লেগেছে, তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয়। তবে তদন্তের পর সেটি জানানো হবে। এত বেশি প্রাণহানির বিষয়ে তিনি বলেন, আগুনের ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে যদি কারখানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিত এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিত, তাহলে হয়তো মৃত্যুর সংখ্যা কম হতে পারত।

আরও পড়ুন

এত বিশাল আয়তনের ওই ভবনে মাত্র দুটি সিঁড়ি ছিলে বলে উল্লেখ করেছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক। তিনি বলেন, জাতীয় ভবন নীতিমালা অনুযায়ী, এই আয়তনের ভবনে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচটি সিঁড়ি থাকা জরুরি ছিল।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকায় হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। এ ঘটনায় দগ্ধ ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এর আগে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৫২ জনের প্রাণহানি হয়েছে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন