দণ্ডিতের বদলে বাদীর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা

পরোয়ানার ভিত্তিতে বুধবার বিকালে পুলিশ আসামি ধরতে গেলে ঘটনাটি জানাজানি হয়
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় আদালত এক আসামিকে এক মাসের সাজা দেন। কিন্তু আসামির পরিবর্তে বাদীর বিরুদ্ধে তাঁর ঠিকানায় সাজা পরোয়ানা যায়। পুলিশ বাদীকে ধরতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। আজ বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

আদালত সূত্র জানায়, নগরীর ডবলমুরিং থানার দেওয়ানহাট এলাকার রূপালী ক্রেডিট কো অপারেটিভ লিমিটেডের প্রিন্সিপাল অফিসার শিহাব উদ্দিন বাদী হয়ে ২০১৯ সালে নগরীর আকবর শাহ এলাকার দিলরুবা আক্তারের বিরুদ্ধে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯৭২ টাকার চেক প্রত্যাখ্যানের অভিযোগে মামলা করেন। গত ৩১ মার্চ পঞ্চম যুগ্ম চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এ মামলার আসামি দিলরুবাকে এক মাসের সাজা দেন। আসামি পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।

সাজা পরোয়ানায় লেখা আছে, আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফরিদ আহমেদ এটি প্রস্তুত করেন। প্রসেস নম্বর ৪৮৮/২১। এতে আসামি দিলরুবার পরিবর্তে বাদী শিহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে তিনি পরোয়ানাটি লেখেন। এটি বাদী শিহাবের দেওয়ানহাটের ঠিকানায় পাঠানো হয়। ডবলমুরিং থানায় যাওয়ার পর বিকেলে শিহাবকে ধরতে যায় পুলিশ।

শিহাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, অফিসে পুলিশ এসে তাঁর বিরুদ্ধে পরোয়ানা দেখালে তিনি অবাক হন। পরে তাঁদের দেখান, তিনিই মামলার বাদী। সাজা পরোয়ানা আসামির বিরুদ্ধে হওয়ার কথা বলেন। মামলার সব কাগজপত্র পুলিশকে দেখানো হয়।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন প্রথম আলোকে বলেন, বাদীর কাছ থেকে যাবতীয় কাগজপত্র দেখার পর এ বিষয়ে জিডি করা হয়।

জানতে চাইলে পঞ্চম যুগ্ম চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফরিদ আহমেদ আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি ভুল হয়ে গেছে। বাদীর সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা ঠিক করে দেব।’

আসামির পরিবর্তে বাদীর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা থানায় পাঠানোর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা উচিত বলে মন্তব্য করেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পদক এ এইচ এম জিয়া উদ্দিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ভুলে, নাকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামিকে বাঁচানোর জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কাজটি করেছেন, তা তদন্ত করা উচিত। যাতে এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আর না ঘটে।