দলবল ডেকে এনে সহকর্মীকে মারধরের ঘটনায় সেই নার্সকে বদলি

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী জ্যেষ্ঠ নার্স শাহিনুর রহমান ১ সেপ্টেম্বর মোতালেব মিয়া এবং তাঁর ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী দিহান তন্ময়সহ ১০-১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

মোতালেব মিয়া
ছবি: সংগৃহীত

দলবল ডেকে এনে সহকর্মীকে মারধরের ঘটনায় মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের সহকারী নার্স মোতালেব মিয়াকে বদলি করা হয়েছে। তাঁকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে বদলি করা হয়। সোমবার নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তারের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ কথা জানানো হয়। বুধবার তাঁকে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী জ্যেষ্ঠ নার্স শাহিনুর রহমান ১ সেপ্টেম্বর মোতালেব মিয়া এবং তাঁর ছেলে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগ কর্মী দিহান তন্ময়সহ ১০-১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে শাহিনুরের সঙ্গে মোতালেবের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এ সময় মোতালেব ক্ষিপ্ত হয়ে শাহিনুরকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এরপর মোতালেব মুঠোফোনে তাঁর ছেলে দিহান তন্ময়কে সহযোগীদের নিয়ে হাসপাতালে যেতে বলেন। কিছুক্ষণ পর দিহান সঙ্গীদের নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে শাহিনুরকে লোহার রড ও জিআই পাইপ দিয়ে মারধর করেন।
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এলে সহকারী নার্স মোতালেব মিয়াকে বদলির আদেশ দেওয়া হয়। তবে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁর বদলি প্রশাসনিক কারণে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২৮ বছর ধরে সদর হাসপাতালে আছেন মোতালেব মিয়া। তিনি সদর উপজেলার আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে হাসপাতালে আধিপত্য বিস্তার করেন। নিজের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেন না। উল্টো রোগীদের বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঠিয়ে দিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হন। তাঁর কর্মকাণ্ডের কোনো প্রতিবাদ করলে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে তিনি দুর্ব্যবহার করতেন মোতালেব।


মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. টুটুল উদ্দিন বলেন, ‘আসামি মোতালেব ও তাঁর ছেলে তন্ময় আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। মামলাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’