দশমিনায় শিক্ষক ও উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার পাল্টাপাল্টি হেনস্তার অভিযোগ
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় কথা–কাটাকাটির জেরে জহির মেলকার নামের স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ঘুষি মারার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রবিউল হোসেনের বিরুদ্ধে। তবে পিআইও রবিউল ইসলামের অভিযোগ, শিক্ষক জহির মেলকার তাঁকে মারধর করেছেন ও গায়ে জুতা ছুড়ে মেরেছেন।
বোরবার দুপুরে উপজেলা ভবনের দোতলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয়েই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জহির মেলকার দশমিনা উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের সিকদাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
অভিযোগ করে তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় সিকদাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে সুমন সরদারের বাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটারের ইটের সড়ক নির্মাণকাজে দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ দিতে পিআইওর কার্যালয়ে যান তিনি। এ সময় পিআইওর সঙ্গে তাঁর কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে পিআইও রবিউল তাঁকে ঘুষি মেরে রক্তাক্ত করেন।
পিআইও রবিউল ইসলাম তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে উল্টো তাঁকে মারধর ও গায়ে জুতা ছুড়ে মারার অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ওই শিক্ষক সড়ক নির্মাণে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ করেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে অভিযোগ খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়। এ সময় ওই শিক্ষক তাঁর বাড়ির রাস্তা করে দেওয়ার জন্য আমাকে চাপ দেন। এটা নিয়ে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে আমাকে নানাভাবে হুমকি দিতে থাকেন তিনি। বিষয়টি ইউএনওকে মুঠোফোনে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষক জহির মেলকার আচমকা আমার শার্টের কলার ধরে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন। একপর্যায়ে আমাকে লক্ষ্য করে জুতা ছুড়ে মারেন।’
উভয় পক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জানিয়ে ইউএনও মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। তবে থানায় কেউ অভিযোগ করেননি।