দাউদকান্দিতে ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে

লকডাউনে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ। তাই ঈদে বাড়িতে আসা লোকজন স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ঝুঁকি নিয়ে পিকআপভ্যানে গাদাগাদি করে ঢাকায় ফিরছেন। আজ শনিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুরে
আবদুর রহমান ঢালী

ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসা লোকজন কর্মস্থলে যোগ দিতে এখন দলে দলে ঢাকায় যাচ্ছেন। লকডাউনে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় তাঁরা ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে পিকআপ ভ্যানে করে ঢাকায় যাচ্ছেন।

আজ শনিবার সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর, আমিরাবাদ, শহীদনগর, হাসানপুর ও মেঘনা-গোমতী সেতুর টোলপ্লাজা এলাকা ঘুরে ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ লক্ষ করা যায়।

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার বকচর গ্রামের বাসিন্দা ঢাকার চাকরিজীবী ফরহাদ আহমেদ ঈদের ছুটি শেষে আজ সকাল স্ত্রী বৃষ্টি আক্তার ও আড়াই বছরের মেয়ে সুরাইয়াকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দাউদকান্দির গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছান তাঁরা।

কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার রাজামেহের গ্রামের বাসিন্দা আবদুল জব্বার ও তাঁর স্ত্রী মিনয়ারা আক্তার, চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার খিলাতলী গ্রামের বাসিন্দা চাকরিজীবী ফারুক হোসেন ও তাঁর স্ত্রী লিমা আক্তার, ছেলে জুবায়ের ও সাদ্দাম অভিযোগ করেন, দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ৪০০ টাকা ভাড়ায় পিকআপ ভ্যানে গাদাগাদি করে যাত্রীদের ঢাকায় যেতে হচ্ছে।

পিকআপ ভ্যানের চালক আরিয়ান আহমেদ বলেন, ‘মহাসড়কে ঢাকাগামী যাত্রীদের এখনো পুরোপুরি চাপ রয়েছে। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চাঁদা দিতে না হলে বেশ লাভবান হতে পারতাম।’

ঢাকাগামী ট্রাকচালক আসিফ হোসেন বলেন, ঢাকাগামী যাত্রীদের পাশাপাশি ছোট যানবাহনের চাপও রয়েছে।

দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আলীমুল আজাদী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশ রাত-দিন দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।