দাগনভূঞা পৌরসভা নির্বাচন: ককটেল বিস্ফোরণ, আনসার সদস্যসহ আহত ৫

লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন ভোটারেরা। শনিবার সকালে ১০টার দিকে ফেনীর দাগনভাঁঞা পৌরসভার এক নম্বর আলাইয়ার পুর কেন্দ্রে
ছবি: প্রথম আলো

ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভা নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণে একজন আনসার সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গণিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপর পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবি দ্রুত সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। মূলত, আওয়ামী লীগের মনোনীত ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এ পাল্টাপাল্টি ঘটনা ঘটে।

এই কেন্দ্রের চারজন প্রার্থীর মধ্যে টেবিলল্যাম্প প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী কামরুল ইসলাম ক্লাইব অভিযোগ করেন, সরকার দল–সমর্থিত উটপাখি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী ছালাউদ্দিন রুবেলের সমর্থকেরা কেন্দ্রে ভোটের আগের দিন রাত থেকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে। সকাল সোয়া ১০টার দিকে কেন্দ্রে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটলে এক আনসার সদস্যসহ চারজন আহত হন। থেমে থেমে ককটেল বিস্ফোরণ হচ্ছে। এ ছাড়া রাতে একজন আহত হন।

আহত ব্যক্তিরা হচ্ছেন আনসার সদস্য মো. আরিফ হোসেন, সিন্দুরপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ওমর ফারুক, মো. তারেক ও মাঈন উদ্দিন।

গণিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. গোলাম কিবরিয়া জানান, বাইরে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও ভেতরে ভোট গ্রহণ চলমান রয়েছে।

দাগনভূঞা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পার্থপ্রতিম দেব জানান, সকাল থেকে কেন্দ্রের আশপাশে বিচ্ছিন্নভাবে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনার পরপর পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও র‍্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

সকাল থেকে ১৩টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে। দাগনভূঞা পৌরসভায় মেয়র পদে চারজন ও পাঁচটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একক প্রার্থী থাকায় বিনা ভোটে সাধারণ ওয়ার্ডে চারজন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে তিনজন ইতিমধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন।