দাগনভূঞায় শিশুশিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার, ধর্ষণের পর হত্যার আলামত মিলেছে

লাশ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

ফেনীর দাগনভূঞায় ছয় বছরের এক মেয়েশিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন ধারণা করছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম বলেন, শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ধর্ষণের আলামতও দেখা গেছে।

আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের দক্ষিণ নেয়াজপুর গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। লাশটি ওই গ্রামের নেয়াজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের পুকুরপাড়ে জংলাঘেরা স্থানে একটি গাছের গোড়ায় গলায় লতা প্যাঁচানো অবস্থায় পড়ে ছিল। নিহত শিশুর বাড়ি ওই গ্রামেই। সে নেয়াজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্‌-প্রাথমিকের শিক্ষার্থী ছিল।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ, স্থানীয় লোকজন ও শিশুটির স্বজন জানান, শিশুটি প্রতিদিনের মতো আজ সকালে বিদ্যালয়ে যায়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সে বিদ্যালয়ে ক্লাসের ফাঁকে পানি খাওয়ার জন্য বেরিয়ে নিখোঁজ হয়। বিদ্যালয় ছুটির পরও সে বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। স্থানীয় মসজিদের মাইকে শিশুটির নিখোঁজের বিষয়ে ঘোষণা করা হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বিদ্যালয়ের পেছনে পুকুরপাড়ে কবরস্থানের ঝোপের মধ্যে গাছের সঙ্গে তার আধা ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাওয়া যায়। এ সময় শিশুটির গলায় গাছের লতা প্যাঁচানো ছিল।

খবর পেয়ে পুলিশ, র‍্যাব, সিআইডিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক দল ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

পুলিশের সোনাগাজী ও দাগনভূঞা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাসকুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে। তিনি জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে।