দিনভর ছয় কাউন্সিলর প্রার্থীকে একসঙ্গে মাঠে বসিয়ে রাখল প্রশাসন

ভোটকেন্দ্রের মাঠে একসঙ্গে বসিয়ে রাখা হয়েছে ৬ কাউন্সিলর প্রার্থীকে। আজ শনিবার কুমিল্লা চান্দিনা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বেলাম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে
ছবি: এম সাদেক

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গা ঘেঁষে কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বেলাশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র। আজ শনিবার সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরুর পর সারিতে দাঁড়ানো ভোটারদের কাছে ভোট চাওয়া শুরু করেন ছয় সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী। এতে ভোটাররা বিরক্ত প্রকাশ করেন।

নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নজরে এলে ছয় প্রার্থীকে এক জায়গায় করা হয়। এরপর ভোটকেন্দ্রের মাঠে নিচু টেবিলে একত্রে বসতে দেওয়া হয়। দিনভর তাঁরা সেখানেই বসা।

ওই ছয় প্রার্থী হলেন পানির বোতল প্রতীকের প্রার্থী কামাল হোসেন, টেবিল ল্যাম্প প্রতীকের আবদুস ছামাদ, ডালিম প্রতীকের বাচ্চু মিয়া, পাঞ্জাবি প্রতীকের মনির হোসেন, গাজর প্রতীকের সাহাবউদ্দিন ও উটপাখি প্রতীকের আরিফুর রহমান। এর মধ্যে বিএনপি–সমর্থিত কামাল টানা দুই মেয়াদের কাউন্সিলর। এলডিপি–সমর্থিত ছামাদ দুই মেয়াদের কাউন্সিলর ও বাচ্চু মিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থাকা অবস্থায় সাধারণ সদস্য (মেম্বর) ছিলেন।

এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নির্বাচনে ভোটার আনা–নেওয়াকে কেন্দ্র করে কাউন্সিলর প্রার্থীরা উত্তাপ ছড়াচ্ছেন। ভোট কেন্দ্র্রে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাঁদের অনুসারীরা যেন কোনো ধরনের ঝামেলা করতে না পারেন, সে জন্য এখানে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় পশ্চিম বেলাশ্বর ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয় মাঠের মধ্যখানে চেয়ার পেতে বসে আছেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর, জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। মাঠের উত্তর পাশে দুটি নিচু বেঞ্চে বসা আছেন ছয় সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী। দক্ষিণ পাশে সারিবদ্ধভাবে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা।

কাছে গেলে ছয় প্রার্থী অভিন্ন সুরে বলেন, ‘তাঁরা প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে বসে আছেন। ভোটারেরা যাঁকে ভোট দেবেন, আমরা তা মেনে নেব।’

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই ভোটকেন্দ্রে মুজিবুর রহমান (৩৮) নামের এক ভোটার (পেশায় গোডাউন শ্রমিক) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ কারণে ভোটকেন্দ্রটিতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। এই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৯৫৯ ভোট।