দিনাজপুরে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, ধারণা ‘হত্যা’

হত্যা
প্রতীকী ছবি

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে গাছে ঝুলন্ত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাঁকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার সকাল আটটার দিকে উপজেলার উত্তর পলাশবাড়ি গ্রামের মাওলানাপাড়ার একটি আমগাছ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত ব্যক্তির নাম মো. ইয়াকুব আলী (৫০)। তিনি উত্তর পলাশবাড়ি গ্রামের মাওলানাপাড়ার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহত ব্যক্তির বড় ভাই মো. জবেদ আলী (৫৫) পলাতক।

মুঠোফোনে নিহত ব্যক্তির ছেলে আবদুল আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, জমির ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে গত শুক্রবার দুপুরে তাঁর বাবা ইয়াকুব আলীর সঙ্গে বড় চাচা জবেদ আলীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাঁর মা আর্জিনা বেগম আহত হয়ে চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। এ ঘটনায় আবদুল আজিজ বাদী হয়ে চিরিরবন্দর থানায় একটি মামলাও করেন।

বাবা বাড়িতে একাই ছিল। বুধবার সকালে গ্রামের একজন ফোনে জানায়, বাবাকে মেরে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
আবদুল আজিজ, নিহতের ছেলে

আবদুল আজিজ বলেন, ‘ওই ঘটনার পর থেকে মা হাসপাতালেই ছিলেন। আমি হাজী দানেশ বিশ্ববিদালয়ে পড়ি। পরীক্ষা শুরু হবে জেনে সোমবার বিকেলে ক্যাম্পাসে যাই। আর ফিরতে পারিনি। ক্যাম্পাসে ছিলাম। বাবা বাড়িতে একাই ছিল। বুধবার সকালে গ্রামের একজন ফোনে জানায়, বাবাকে মেরে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।’ আবদুল আজিজ অভিযোগ করেন, তাঁর বড় চাচা, তাঁর জামাতাসহ এলাকার কয়েকজন মিলে বাবার ওপর হামলা করেছেন। বাড়িতে কেউ নেই জেনে রাতের অন্ধকারে বাবাকে মেরে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছেন।

চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান তিনি। নিহত ব্যক্তির পা মাটিতে ঠেকানো ছিল। পরে গাছ থেকে মৃতদেহ নামানো হয়েছে। লাশের সুরতহাল করা হয়েছে। শ্বাসরোধে মেরে ফেলার আলামত পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির ছেলে একটি হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।