দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

দিনাজপুরের দুই উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত দুজনই মোটরসাইকেল আরোহী ছিলেন। দুর্ঘটনা দুটি আজ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে ঘটে। এর মধ্যে চিরিরবন্দর উপজেলায় ট্রাক্টরের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে একজন এবং বিরল উপজেলায় শ্যালো মেশিনচালিত ভটভটির সঙ্গে সংঘর্ষে অন্য একজন নিহত হন।

চিরিরবন্দরের দুর্ঘটনায় নিহতের নাম শাপলা খাতুন (৩৭)। তিনি উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের শান্তির বাজার শাহাপাড়া এলাকার শামীম সরকারের স্ত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে স্বামী-সন্তানসহ মোটরসাইকেলে বাসা থেকে উপজেলার কারেন্টহাট যাচ্ছিলেন শাপলা খাতুন। পথে উপজেলার হেলিপ্যাড এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি ট্রাক্টরের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শাপলা খাতুনের। এ সময় তাঁর স্বামী ও সন্তান রাস্তার বাম পাশে ছিটকে পড়ায় অক্ষত রয়েছেন।

চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার বলেন, মোটরসাইকেল ও ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে শাপলা খাতুন ঘটনাস্থলেই মারা যান। তবে তাঁর স্বামী ও সন্তানের তেমন ক্ষতি হয়নি। ট্রাক্টরটি জব্দ করা হয়েছে।

একই দিন বেলা ১১টার দিকে বিরল উপজেলার ধামইর ইউনিয়নের বাজনাহার এলাকায় তন্ময় ইটভাটার সামনে একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ভটভটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন মোটরসাইকেলের আরোহী জামাল উদ্দিন (৪০)। মোটরসাইকেলে থাকা অন্য আরোহী ডেকোরেটর ব্যবসায়ী হরিশ চন্দ্র গুরুতর আহত হয়ে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় সূত্রে জানায়, বিরল উপজেলা শহর থেকে জামাল উদ্দিন ও হরিশ চন্দ্র মোটরসাইকেলযোগে বাজনাহার বাজারে আসছিলেন। এ সময় তন্ময় ইটভাটার সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা শ্যালো মেশিনচালিত ভটভটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়েন জামাল উদ্দিন ও হরিশ চন্দ্র। পরে তাঁদেরকে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জামাল উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম হাবিব ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ভটভটি ও মোটরসাইকেলটি এখন থানা হেফাজতে রয়েছে।