দুই আসামির স্বীকারোক্তি, তিনজন রিমান্ডে

প্রতীকী ছবি

ঢাকার আশুলিয়ায় গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম (১৮) ও পাপ্পু সাহা (১৯) শনিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একই মামলায় গ্রেপ্তার অপর তিন আসামি অন্তর (১৯), জ্যোতির্ময় সাহা (২০) ও মিলন সাহার (২১) তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুর রাশিদ বলেন, শনিবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করে আসামি অন্তর, জ্যোতির্ময় ও মিলনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের প্রত্যেককে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সাইফুল ও পাপ্পু ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় আদালত তাঁদের জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন। সাইফুল ও পাপ্পু আদালতের কাছে গৃহবধূকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ঘটনার দিন যা হয়েছিল, তা সবিস্তার জানিয়েছেন।

প্রথম ঘটনার চার দিন পর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ও মুঠোফোন ফেরত দেওয়ার কথা বলে পুনরায় তাঁকে রোস্তমপুরে ডেকে এনে সাইফুলসহ কয়েকজন মিলে ধর্ষণ করেন।

জবানবন্দির সূত্র ধরে পুলিশ জানায়, কয়েক মাস আগে মুঠোফোনে অন্তরের সঙ্গে ওই গৃহবধূর পরিচয় হয়। এর কয়েক দিন পর অন্তরের মাধ্যমে সাইফুলের সঙ্গেও পরিচয় হয়। ওই গৃহবধূ স্বামীর সঙ্গে রাজধানীর মিরপুরে থাকেন। তাঁর স্বামী ইজবাইক চালান। আর্থিক অনটনের কারণে ঘরভাড়া দিতে পারছিলেন না। এ জন্য সাইফুল ও অন্তরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে দুই হাজার টাকা ধার চেয়েছিলেন। টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সাইফুল তাঁকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিরুলিয়া সেতুর কাছে আসতে বলেন। ওই দিন সন্ধ্যায় তিনি এলে সাইফুল তাঁকে রোস্তমপুর এলাকায় একটি আবাসন প্রকল্পের ভেতরে নিয়ে যান। এরপর সাইফুল ইসলাম, অন্তর, জ্যোতির্ময়, পাপ্পু, মিলন, উজ্জ্বল ও রতন তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরে তাঁরা গৃহবধূর মুঠোফোন রেখে রাত ১০টার দিকে তাঁকে ছেড়ে দেন। বিষয়টি ফাঁস করা হলে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়।

পুলিশ আরও জানায়, প্রথম ঘটনার চার দিন পর (২৮ সেপ্টেম্বর) ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ও মুঠোফোন ফেরত দেওয়ার কথা বলে পুনরায় তাঁকে রোস্তমপুরে ডেকে এনে সাইফুলসহ কয়েকজন মিলে ধর্ষণ করেন। পরে মুঠোফোন ফেরত দিয়ে রাত ১১টার দিকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ শুক্রবার আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতেই অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সাইফুল ইসলাম (১৮), অন্তর (১৯), জ্যোতির্ময় সাহা (২০), পাপ্পু সাহা (১৯) ও মিলন সাহাকে (২১) আটক করে।