নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভা নির্বাচনে দুই কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের সময় একটি পিকআপ ভ্যান ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। তিনটি ব্যক্তিগত গাড়ি ও ছয়টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
আজ মঙ্গলবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নোয়াপাড়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও প্রার্থী আনোয়ার হোসেন (ডালিম মার্কা) এবং রুহুল আমিনের (উটপাখি মার্কা) সমর্থকদের মধ্যে ওই সংঘর্ষ ঘটে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উপজেলা নির্বাচন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ওই প্রার্থীদের নিয়ে বসেছি। এ বিষয়ে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রহুল আমিনের সমর্থকেরা নোয়াপাড়া এলাকায় গণসংযোগ করছিলেন। একই সময় ওই এলাকা দিয়ে আনোয়ার হোসেনের সমর্থকেরা যাচ্ছিলেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষ লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ইটপাটকেল নিক্ষেপও হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। এ সময় একটি ব্যক্তিগত গাড়ি ও ৮-১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ পৌনে ছয়টার দিকে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাড়ির আগুন নেভান।
রুহুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ও তাঁর সমর্থকেরা গণসংযোগ করে ওই এলাকায় এসে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় পরিকল্পিতভাবে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আনোয়ার হোসেনের সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা চালান।
এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, রহুল আমিনের অফিসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষ ঘটে।
জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যাঁরা এ অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।