দুই কিশোরের বিরুদ্ধে নারী হত্যার অভিযোগ

বগুড়ায় দুই কিশোরের বিরুদ্ধে বৃদ্ধ এক নারীকে ডাবের পানির সঙ্গে ঘুমের বড়ি খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বগুড়া শহরের মধ্যধাওয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ উঠেছে, ক্রিকেট জুয়ায় আসক্ত ওই দুই কিশোর বাজির টাকার জন্য ডাবের পানির সঙ্গে ঘুমের ২০টি বড়ি খাইয়ে ওই বৃদ্ধ নারীকে হত্যা করেছে। পরে মুঠোফোন, গয়না ও টাকা নিয়ে পালানোর সময় এক কিশোর ধরা পড়েছে, অপর কিশোর পালিয়ে গেছে।

নিহত ওই নারীর নাম শামসুন নাহার (৭০)। তিনি মধ্যধাওয়াপাড়ার রেলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী মৃত গোলাম মোস্তফার স্ত্রী। তাঁর ছেলে মোকছেদুল আলম বগুড়ায় একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় কর্মকর্তা।

মোকছেদুল আলম বলেন, তিন ছেলেমেয়েসহ তাঁর স্ত্রী বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেছেন। বাসায় তাঁর বৃদ্ধ মা ছাড়া অন্য কেউ ছিল না। বেলা আড়াইটা থেকে তিনটার দিকে অফিস শেষে তিনি বাসায় যান। এ সময় একতলা বাসার প্রধান ফটক ভেতর থেকে আটকানো ছিল। ফটক খুলে দেওয়ার জন্য তাঁর মাকে ডাকছিলেন। এ সময় বাসার ছাদ থেকে লাফিয়ে পালাচ্ছিল এক কিশোর। প্রতিবেশীরা ধাওয়া দিয়ে তাকে আটক করেন। এদিকে ফটক খুলে বাসার ভেতর থেকে বৃদ্ধ মাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে বেসরকারি একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ওই কিশোর স্বীকার করেছে, পলাতক কিশোর ও সে ক্রিকেট জুয়ায় আসক্ত। এক বছরে বাজিতে হেরে অনেক টাকা খুইয়েছে তারা। বাজির টাকা জোগাতেই তারা ওই বৃদ্ধ নারীকে খুনের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক বেলা তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে তারা ফাঁকা বাসায় গিয়ে ডাবের পানির সঙ্গে ২০টি ঘুমের বড়ি মিশিয়ে ওই নারীকে খাওয়ায়। এরপর তিনি অচেতন হয়ে পড়লে একটি স্মার্টফোন, একটি সাধারণ ফোন, নগদ কিছু টাকা ও গয়না চুরি করে তারা।

এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত দুই কিশোরের পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। তাঁদের মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।