দুই দিনে মেঘনাতীরের শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মেঘনা নদীর তীরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করছে বিআইডব্লিউটিএ। আজ সোমবার বিকেলে
ছবি: প্রথম আলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জে মেঘনা নদীর তীরে অভিযান চালিয়ে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, রবি ও সোমবার দুই দিন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিওটিএ) নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ আশুগঞ্জ নৌবন্দর এলাকায় এই উচ্ছেদ অভিযান চালায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিআইডব্লিউটিএর লোকজন গতকাল রবি ও আজ সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আশুগঞ্জ নৌবন্দর এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান চালান। অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহাবুব জামিল। এ সময় আশুগঞ্জ-ভৈরব বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক শহীদ উল্লাহসহ ভৈরব নৌ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, রোববার ৮৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত আশুগঞ্জ মেঘনা নদীর তীরে অভিযান চালানো হয়। মেঘনা নদীর তীর ও আশুগঞ্জ নৌবন্দর এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা ৩০টির অধিক পাকা ভবন, ব্রয়লার, দোকানঘর ও অন্যান্য ছোট-বড় ৫০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

বিআইডব্লিউটিএ আশুগঞ্জ-ভৈরব নৌবন্দরের উপপরিচালক শহীদ উল্লাহ বলেন, আশুগঞ্জ নৌবন্দর এলাকায় নদীর তীর দখল করে অনেক অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে সুউচ্চ ভবনও রয়েছে। এসব স্থাপনা থেকে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ বর্জ্য নদীতে ফেলে নদীর পানিকে দূষিত ও নাব্যতা নষ্ট করছে। তাই নদীতীরের উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে নদীর পরিবেশ ঠিক রাখার চেষ্টা চলছে। এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর তীরে হাঁটার জন্য ১০ ফুট প্রস্থের রাস্তা করার পরিকল্পনা নেওয়া হবে। যাতে রাস্তা দিয়ে লোকজন হাঁটাচলা ও নদীর প্রকৃতি উপভোগ করতে পারেন। মেঘনাকে দখলমুক্ত করতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।