দুই দিনেও হদিস মেলেনি নবজাতকের, অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা

নবজাতক
প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ঘুমন্ত মা-বাবার পাশ থেকে নিখোঁজ হওয়া ১৭ দিনের নবজাতকের সন্ধান মেলেনি। ঘটনার পর দুই দিন পার হলেও কেন বা কীভাবে ওই নবজাতক চুরি হলো এবং কারা এই ঘটনায় জড়িত—সেসব বিষয়ে পরিবার বা পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। তবে এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
গত রোববার দিবাগত রাতের কোনো একসময় মা-বাবা দুজনের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকা শিশুটি নিখোঁজ হয়। সোহানা আক্তার নামের শিশুটিকে কেউ চুরি করেছে বলে ধারণা তার পরিবারের।

ওই ঘটনায় গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে শিশুটির দাদা আলী হোসেন খান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। সোহানা আক্তার গাবতলা গ্রামের সুজন খান ও শান্তা আক্তার দম্পতির সন্তান। সুজন সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে শিশুটির বাবা সুজন খান বলেন, ‘আজ দুই দিন হয়ে গেল সন্তানের মুখ দেখতে পারছি না। আমার দুধের শিশুকে ফিরে পেতে সবার সহযোগিতা চাই।’

সন্তানের সন্ধান না পেয়ে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন মা শান্তা আক্তার। তিনি বলেন, ‘রোববার রাতে খাওয়াদাওয়ার পর ঘরের আলো বন্ধ করে আমরা ঘুমাই। সোহানা আমাদের দুজনের মাঝখানে ছিল। রাতে কয়েকবার ওকে দুধও খাইয়েছি। দেড়টা থেকে দুইটার দিকে উঠে দেখি, মেয়ে নেই।’

পুলিশ জানায়, সুজন খানের টিনের ঘরে মোট তিনটি কক্ষ। এর একটিতে নবজাতককে নিয়ে থাকতেন সুজন-শান্তা দম্পতি। অন্য দুটির একটিতে সুজনের আগের সংসারের দুই বছর বয়সী একটি মেয়েকে নিয়ে সুজনের দাদা-দাদি এবং অন্যটিতে সুজনের বোন, ভগ্নিপতি ও তাঁদের একটি মেয়ে থাকত। ঘরের কোনো দরজা ভাঙা ছিল না। ঘরের টিনের দরজাটি লোহার শিকল দিয়ে লাগানো হতো, যা চেষ্টা করলে ঘরের বাইরে থেকেও খোলা সম্ভব।

এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ঠাকুর দাস মণ্ডলকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি জানার পর থেকেই পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ করছি। কয়েকটি বিষয়কে সামনে নিয়ে তদন্ত চলছে। শিশুটিকে উদ্ধার ও এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে তাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।

আরও পড়ুন