দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে একজনকে কুপিয়ে হত্যা

গভীর রাতে নিখোঁজ রেনু মিয়ার লাশ বুধবার সকালে হাওরের পানিতে ভেসে ওঠে। লাশ উদ্ধারের পর দেখা যায়, রেনুর শ্বাসনালি কাটা এবং সারা শরীরে দা দিয়ে কোপানোর জখম।

কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষের জের ধরে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার ঢালারকান্দি গ্রামে আবদুল্লাহ মিয়া ও গাজী মিয়া পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম রেনু মিয়া (৪২)। তিনি আবদুল্লাহর পক্ষের লোক ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢালারকান্দি গ্রামটি উপজেলা সদর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জনপদ। বর্ষার সময় চারপাশ পানিবেষ্টিত থাকে। গ্রামটিতে আবদুল্লাহ মিয়া ও গাজী মিয়া প্রভাবশালী। প্রভাব বিস্তার নিয়ে প্রায়ই দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। মঙ্গলবার দুই পক্ষের দুই কিশোরের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। বিরোধ মিটাতে সন্ধ্যায় সালিস হয়। সালিসে বিষয়টির মীমাংসা হয়। গভীর রাতে নিখোঁজ রেনু মিয়ার লাশ বুধবার সকালে হাওরের পানিতে ভেসে ওঠে। লাশ উদ্ধারের পর দেখা যায়, রেনুর শ্বাসনালি কাটা এবং সারা শরীরে দা দিয়ে কোপানোর জখম। রেনুর মৃত্যু সংবাদে ক্ষুব্ধ আবদুল্লাহ পক্ষ দা-বল্লব নিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা করেন।

আবদুল্লাহ পক্ষের শহীদ মিয়া নামে একজন বলেন, ‘মীমাংসার পর সবকিছু ঠিক হয়ে গেছে ভেবে আমরাও স্বাভাবিক চলাফেরা করছিলাম। অথচ রেনুকে গাজী পক্ষ ধরে নিয়ে মেরে ফেলল।’

গাজী পক্ষের নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির দাবি, রেনুকে তাঁরা মারেননি। বরং তাঁদের ফাঁসাতে আবদুল্লাহ পক্ষের লোকজনই রেনুকে মেরে নদীতে ফেলে দিয়েছে। রেনুর লাশ পাওয়ার পর আবদুল্লাহ পক্ষের হামলায় তাঁদের পক্ষের চারজন আহত হয়েছেন।

অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, রেনু হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। এই ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।