দুই বছর পর নিষেধাজ্ঞা উঠল ভ্রমণ ভিসার, ভারতে যাওয়া যাবে বাংলাবান্ধা হয়ে

পঞ্চগড় জেলার মানচিত্র

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভ্রমণ ভিসায় ভারতে যাতায়াতের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে দুই দেশের সরকার। এখন থেকে ভ্রমণ ভিসায় বাংলাবান্ধা রুট উল্লেখ থাকলেই এই স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের নতুন ভ্রমণ ভিসাধারীরা যাতায়াত করতে পারবেন।

আজ শুক্রবার সকালে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ ভ্রমণ ভিসায় ভারতে যাতায়াতে দুই দেশের সম্মতির কথা জেনেছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার মৌখিক নির্দেশনা পেয়েছে পুলিশ। তবে গতকাল ভ্রমণ ভিসায় কোনো যাত্রী এই বন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেননি।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা যায়, করোনা সংকটে ২০২০ সালের ৩০ মার্চ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন দিয়ে দুই দেশের নাগরিকদের পারাপার বন্ধ করে দেয় সরকার। তবে ভ্রমণ ভিসা বন্ধ থাকলেও শর্ত সাপেক্ষে ভারত ও নেপালের শিক্ষার্থী এবং ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ভারতে যাতায়াত করতেন। তবে কোনো বাংলাদেশি এই বন্দর দিয়ে ভারতে যেতে পারতেন না। এরপর করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় ২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল থেকে এই ইমিগ্রেশন দিয়ে মানুষ পারাপার একেবারেই বন্ধ করে দেয় সরকার। পরবর্তী সময় এই বন্দর দিয়ে ভারতে যাতায়াতের নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ভিসা, সরকারি জরুরি পাসপোর্ট ও চিকিৎসা ভিসা শিথিল হলেও ভ্রমণ ভিসায় যাতায়াত পুরোপুরি বন্ধ ছিল।

পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, করোনা মহামারির কারণে দুই বছর ধরে ভ্রমণ ভিসায় বাংলাবান্ধা দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যাতায়াতের অনুমতি ছিল না। বৃহস্পতিবার থেকে ভিসা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন ভ্রমণ ভিসাধারীরা বাংলাবান্ধা চেকপোস্ট ব্যবহার করে ভারতে যাতায়ত করতে পারবেন, এমন নির্দেশনা তাঁরা পেয়েছেন। নতুন ভিসায় এই বাংলাবান্ধা রুট উল্লেখ থাকলেই যাত্রীরা এই চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাতায়াত করতে পারবেন।