দুদকের মামলায় শ্রমিক লীগ নেতা কারাগারে

সান্তাহার বাফার গুদামের সার কেলেঙ্কারি ও সরকারি সার কালোবাজারে বিক্রি করার ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা শ্রমিক লীগ নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণের পর তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ নরেশ চন্দ্র সরকার।

কারাগারে পাঠানো শ্রমিক লীগ নেতা হলেন রাশেদুল ইসলাম। তিনি উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক।

দুদক ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর দুদক তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই রাশেদুল ইসলাম পলাতক ছিলেন। ওই মামলার অপর দুই আসামির মধ্যে সান্তাহার বাফার গুদামের সাবেক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইনচার্জ) ও উপপ্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. নবীর উদ্দিন খান হাইকোর্ট থেকে জামিন নেওয়ার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। তাঁর বাড়ি নওগাঁর রানীনগরের ধোপাপাড়া গ্রামে। আর অপর আসামি সার সরবরাহের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাউথ ডেল্টা শিপিং অ্যান্ড ট্রেডিং লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মো. মশিউর রহমান খান বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বাসিন্দা। ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর দুদক বগুড়ার সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ১১ কোটি ৪৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ৪ হাজার ১৬১ মেট্রিক টন সার গুদাম থেকে কালোবাজারি ও আত্মসাতের অভিযোগে চারজনকে আসামি করে মামলাটি করেন। এর মধ্যে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয় গুদামের সহকারী হিসাব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমানের নাম।

দুদকের বগুড়া আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, মাসুদুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে ১৫৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা মূল্যের প্রায় ৫২ হাজার ৩৪২ মেট্রিক টন সরকারি সার কালোবাজারে বিক্রি ও আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা অপর একটি মামলা বর্তমানে স্পেশাল জজ আদালতে বিচারাধীন। ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর দুদক বগুড়ার সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম আদমদীঘি থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে এই মামলা করেছিলেন। রাশেদুল দুই মামলাতেই এত দিন পলাতক ছিলেন। তাঁর বাড়ি আদমদীঘি উপজেলায়।