দুদকের মামলায় সস্ত্রীক সাবেক সাংসদ আউয়ালের জামিনের মেয়াদ বাড়ল

এ কে এম এ আউয়াল
সংগৃহীত

পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ এ কে এম এ আউয়াল ও তাঁর স্ত্রী লায়লা পারভীনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন আদালত। সোমবার সকালে পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে তাঁরা দুজন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় স্থায়ী জামিন অথবা জামিনের সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। দুপুরে শুনানি শেষে বিচারক মুহা. মুহিদুজ্জামান মামলা পরবর্তী হাজিরার তারিখ পর্যন্ত জামিনের সময় বাড়ান।

এর আগে গত ৩ মার্চ আদালত আউয়াল ও তাঁর স্ত্রী দুই মাসের জামিন পান। ওই দিন দুপুরে দুদকের মামলায় দুজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা দায়রা জজ আদালত। পরে বিচারক বদলি হলে তাঁরা জামিনের জন্য পুনরায় আবেদন জানান এবং ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ জামিন দেন।

পিরোজপুরে দুদকের কৌঁসুলি মনসুর উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ কে এম এ আউয়াল ও তাঁর স্ত্রী লায়লা পারভীন আদালতে হাজির হয়ে জামিন স্থায়ী অথবা বর্ধিত করার আবেদন করেন। বিচারক মামলার পরবর্তী তারিখ পর্যন্ত জামিনের সময় বাড়ান, যা এক মাসের বেশি হবে না।

২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর দুদকের বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক আলী আকবর বাদী হয়ে আউয়ালের বিরুদ্ধে খাস জমিতে ভবন নির্মাণ, অর্পিত সম্পত্তি ও পুকুর দখলের অভিযোগে তিনটি মামলা করেন। একটি মামলায় আউয়ালের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী পিরোজপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী লায়লা পারভীনকেও আসামি করা হয়। গত ৭ জানুয়ারি আউয়াল ও লায়লা পারভীন হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের অন্তর্বর্তী জামিন নেন। গত ৩ মার্চ হাইকোর্টের জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তাঁরা পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন।

পিরোজপুর-১ (সদর) আসনে ২০০৮ সালে আউয়াল প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনরায় সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন পাননি। বর্তমানে এ আসনের সাংসদ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।