দুর্ঘটনা এড়াতে আগুনমুখায় ফেরিসেবা চান রাঙ্গাবালীবাসী

নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে আগুনমুখা নদীতে ফেরিসেবার দাবিতে মানববন্ধন। সোমবার দুপুরে রাঙ্গাবালীর বাহেরচর বাজারে
সংগৃহীত

দ্বীপ উপজেলা রাঙ্গাবালী। পটুয়াখালীর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা এই উপজেলার লোকজনকে অন্য উপজেলা, জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে আগুনমুখা নদী পাড়ি দিতে হয়। এই অবস্থায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে নৌপর্থ নির্ভর রাঙ্গাবালী উপজেলার লোকজন কোড়ালিয়া-পানপট্টি নৌপথে ফেরিসেবার দাবি জানিয়েছেন।

সোমবার দুপুরে রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নের বাহেরচর বাজারে ‘আর কোনো দাবি নাই, রাঙ্গাবালীতে ফেরি চাই’ স্লোগান নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।। এই কর্মসূচিতে রাঙ্গাবালীর বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন। এই মানববন্ধন থেকে দ্রুত ফেরিসেবা চালুর দাবি জানানো হয়।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার কোড়ালিয়া থেকে পানপট্টি যাওয়ার পথে স্পিডবোট ডুবে পুলিশ সদস্য, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ পাঁচজন প্রাণ হারান। এর আগে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি একই নৌ রুটে দুটি স্পিডবোটের সংঘর্ষে দুজনের প্রাণহানি হয়।

উপজেলা ছাত্রলীগ ও রাঙ্গাবালীবাসী নামে সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে সোমবার দুপুরে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান শিবলী, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান, বাহেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিকান্দার হোসেন, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী জাকারিয়া জাবের প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, তিন দিকে নদী ও এক দিকে সাগরবেষ্টিত এই উপজেলায় প্রায় দুই লাখ মানুষ বসবাস করে। এই উপজেলা থেকে অন্য উপজেলা কিংবা জেলা শহরে যাতায়াতে আগুনমুখা পাড়ি দিতে হয়। স্পিডবোট, খেয়া ও লঞ্চে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগুনমুখা নদী পাড়ি দিতে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটে। চলতি বছর দুটি নৌ দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্গম জনপদের মানুষের কথা বিবেচনা করে এখানে ফেরি চালু এখন সময়ের দাবি।

এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, নৌপথনির্ভর রাঙ্গাবালীবাসীর জন্য ফেরি চালু খুবই প্রয়োজন। এতে নৌপথ পারাপারে ঝুঁকি কমবে। কোড়ালিয়া-পানপট্টি ফেরিসেবার জন্য ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে।