দুর্ঘটনার সংখ্যা কমলেও মৃত্যুহার কমেনি: বিআরটিএ চেয়ারম্যান

বিআরটিএ চেয়ারম্যান কামরুল আহসান
বিআরটিএ চেয়ারম্যান কামরুল আহসান

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান কামরুল আহসান বলেছেন, দুর্ঘটনার সংখ্যা কমলেও মৃত্যুর হার কমেনি। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আইন মানার সংস্কৃতি চর্চার প্রয়োজন, যা বিআরটিএর পক্ষে এককভাবে সম্ভব নয়। পরিবহন খাতের মালিক, শ্রমিক, প্রশাসন ও পুলিশের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি বাস্তবায়ন করতে হবে।

চুয়াডাঙ্গায় বিআরটিএ কার্যালয় পরিদর্শন এসে আজ রোববার বিআরটিএ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন বিদেশে যাই, তখন সে দেশের আইন মেনে চলি। তাহলে নিজেদের দেশে কেন আইন মেনে চলব না? জীবনের চেয়ে বড় কিছু নেই, এটা সবাইকে মানতে হবে। আইন মেনে চলার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।’

কামরুল আহসান বলেন, মৃত্যুর হার না কমার মূল দুটি কারণ হলো চালকদের অসতর্কতা ও ওভারটেক করার প্রবণতা। এ ছাড়া মালিকদের দায়িত্বশীলতার অভাবও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। বিআরটিএর একার পক্ষে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়। এটা সম্মিলিত প্রচেষ্টা।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, চালকদের পেশাকে আরও মর্যাদাবান করতে হবে। বিদেশে চালকদের ভালো মাইনে দিতে হয়। চালকদের শিক্ষাগত যোগ্যতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, চালকদের অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে, এটা আইনে রাখা হয়েছে। অশিক্ষিত লোক গাড়ি চালালে তাঁর পেশাগত দায়িত্ববোধ আসবে কোথা থেকে।

বিআরটিএর সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের লোকবলস্বল্পতা আছে। পর্যাপ্তসংখ্যক নিজস্ব কার্যালয়ও নেই। লোকবল কাঠামো অনুযায়ী সারা দেশে ৮২৩ জনের পদ আছে, অথচ কর্মরত ৭০২ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো আরও শক্তিশালী করার জন্য অতিরিক্ত ২ হাজার ২৪০ জনের চাহিদা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।’

মাঠপর্যায়ে বিভাগীয় কার্যক্রম সরেজমিনে দেখতে আজ চুয়াডাঙ্গায় আসেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার ও নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) সিব্বির আহমেদ।