দুর্দিনে প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে বিপদে গৃহকর্মী মা
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামের বাসিন্দা আফরোজা বেগম। প্রতিবন্ধী ছেলে ইসমাইল হোসেনকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে তিনি ছুটে যান অন্যের বাড়িতে কাজ করতে। কাজ শেষে যে খাবার পান, তা নিয়ে বাড়ি ফেরেন। এই খাবারে মা-ছেলের একবেলা পেট ভরে। বাকি দুই বেলার জন্য রান্না করেন।
কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কাজে যেতে পারছেন না আফরোজা। আয়-রোজগার নেই। কোনো রকমে খেয়ে–না খেয়ে দিন কাটছে তাঁর। তিনি জানালেন, এখনো কোনো সরকারি সহযোগিতা পাননি তিনি।
আফরোজা বলেন, তাঁর স্বামী আবদুস সামাদ ৮ মাস আগে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। দুই ছেলে আর এক মেয়ে তাদের। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বড় ছেলে বিয়ে করে আলাদা সংসার করছেন। প্রতিবন্ধী ছোট ছেলেকে নিয়ে সংসার তাঁর। শিকল দিয়ে বেঁধে না রাখলে সবার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে ছেলে। গত ৬ বছর ধরে এভাবেই ছেলেকে আটকে রাখেন তিনি। ছেলেকে এভাবে রেখে কাজে যান। কিন্তু করোনাভাইরাসের হানা সব বদলে দিল। এখন খাবারের কষ্টে দিন কাটছে তাদের মা–ছেলের।
শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বিশারত আলি বলেন, ছেলেটির একটি প্রতিবন্ধী কার্ড আছে। তা ছাড়া তাঁর ওয়ার্ডে বরাদ্দ যা ছিল, তা বিতরণ করা হয়েছে। এবার মাল পাওয়ামাত্রই আফরোজাকে দেওয়া হবে।