দেবর-ভাবির সম্পর্কের জেরে গৃহকর্তা খুন, দাবি পুলিশের

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন পাবনার পুলিশ সুপার মো. মহিবুল ইসলাম খান
প্রথম আলো

দেবর-ভাবির সম্পর্কের জেরে পাঁচ দিন আগে গৃহকর্তা খুন হন বলে দাবি করেছেন পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মহিবুল ইসলাম খান। আজ বুধবার সকালে এসপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

গত ২৮ মে পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপনগর কলেজপাড়া মহল্লায় খুন হন শাকিল আহম্মেদ (৩৫)। তিনি পেশায় কাপড় ব্যাবসায়ী। তাঁর বাড়ি ঈশ্বরদী উপজেলার দুবলাচরা গ্রামে।

এসপি বলেন, খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত শাকিল আহম্মেদের স্ত্রী মীম খাতুন (২৮) ও ছোট ভাই সাব্বির হোসেন (৩০) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। অধিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাব্বিরকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, নিহত শাকিল তাঁর স্ত্রী মীমকে নিয়ে দুবলাচরা গ্রামে পৈতৃক বাড়িতে থাকতেন। ছোট ভাইয়ের সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্কের বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি সপরিবার বাড়ি ছাড়েন। স্ত্রীকে নিয়ে ১৯ মে উপজেলা সদরের কলেজপাড়ার ভাড়া বাসায় ওঠেন তিনি। একপর্যায়ে দেবর ও ভাবি পরামর্শ করে শাকিলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৮ মে রাতে মীম তাঁর স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। সাব্বির বাসায় গেলে দুজনে মিলে কুশন চাপা দিয়ে শাকিলকে হত্যা করেন। এরপর মীমের হাত-পা বেঁধে বাসা থেকে চলে যান সাব্বির। মীম তখন চিৎকার করে বলতে থাকেন, দুই যুবক এসে তাঁর স্বামীকে খুন করে পালিয়ে গেছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম বলেন, এ ঘটনায় নিহত শাকিল আহম্মেদের মামা কোরবান আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সাব্বির ও মীম খুনের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই খুনের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ৩১ মে অধিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত শাকিলের ছোট ভাই সাব্বিরের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।