দ্বিতীয় দিনের মতো সূর্যের দেখা নেই চট্টগ্রামে

মেঘে ঢেকে আছে আকাশ। চট্টগ্রাম নগরের প্রবর্তক এলাকা থেকে তোলা
ছবি: জুয়েল শীল

ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর প্রভাবে চট্টগ্রামে আজ রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো চট্টগ্রামে সূর্যের দেখা মেলেনি। আকাশ ছিল মেঘলা। তবে ঝড়টি এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আর এর প্রভাবে নগরীর কোথাও কোথাও টিপটিপ বৃষ্টিও হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে আগামীকাল সোমবারও আকাশ মেঘলা থাকবে চট্টগ্রামে। পাশাপাশি হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিও হতে পারে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তরে কর্তব্যরত আবহাওয়াবিদ মেঘনাদ তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বন্দর ও উপকূলীয় এলাকার জন্য ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঝড়টি দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি হতে পারে। ঝড় কেটে গেলে দিনের তাপমাত্রা কমে আসবে।

আজ রোববার চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া দপ্তরের ১২ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর–পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর ও উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটা আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৭৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।

নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, মোংলা, কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে নৌযানগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।