ধরলা নদীতে পাথর তোলা নিয়ে বিরোধে শ্রমিক খুন

প্রতীকী ছবি

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ধরলা নদী থেকে পাথর তোলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক পাথরশ্রমিককে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকালের এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত শ্রমিক মজনু হোসেন (২৮) উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নের মাঝিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আটক দুজন হলেন ওই এলাকার সাহাজুদ্দিন (৬৫) ও তাঁর স্ত্রী রহিমা বেগম (৫৫)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, পাটগ্রাম ইউনিয়নের মাঝিপাড়া গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে মজনু হোসেন বাড়ির পাশে ধরলা নদী থেকে নুড়িপাথর তুলে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু একই এলাকার সাহাজুদ্দিন (সাদ্দিন) পাথর উত্তোলনে বাধা দেন ও ওই নদীর ধার (পাড়) নিজের দাবি করেন। বৃহস্পতিবার সকালে আবারও মজনু হোসেন পাথর তুলতে যান। এ সময় সাহাজুদ্দিন তাঁকে পাথর তুলতে বাধা দেন। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে রড দিয়ে মজনুর মাথায় আঘাত করেন সাহাজুদ্দিন। সঙ্গে সঙ্গে মজনু পানিতে পড়ে যান।

এ সময় প্রতিবেশী রাসেল, মোহাম্মদ ও সাহাজুদ্দিনের ছোট ভাই মোজাম্মেল হক মজনুকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে সাহাজুদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী রহিমা বেগম তাঁদেরও লাঞ্ছিত করেন এবং মারপিট করেন। পরে স্থানীয় লোকজন মজনুকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পরামর্শ দেন। তবে রংপুরে পৌঁছানোর আগেই পথে মজনুর মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠায়।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, নদী থেকে নুড়িপাথর উত্তোলনকে কেন্দ্র করে মারপিটের ঘটনায় মজনু হোসেন মারা যান। পুলিশ দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রস্তুতি চলছে।