ধরলার পানি বিপৎসীমার ২৭ সে. মি. ওপরে, অর্ধশত চর প্লাবিত

কুড়িগ্রাম জেলা
কুড়িগ্রাম জেলার ম্যাপ

কুড়িগ্রামে গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ধরলা নদীর পানি অস্বাভাবিক গতিতে বেড়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। বুধবার বিকেলে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছিল। পানি বাড়ায় কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট, ফুলবাড়ী ও উলিপুর উপজেলার প্রায় অর্ধশত চর প্লাবিত হয়েছে।
এসব এলাকার শত শত একর আমন খেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। কোনো কোনো আমন খেতে ৪-৫ ফুট পানি জমে আছে। এসব এলাকায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন ৩০ হাজার মানুষ। অনেকের ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। গ্রামীণ সড়ক ডুবে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বিকেল ৩টায় ধরলা নদীর পানি ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র নদে পানি ২৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার, তিস্তায় পানি ২৮ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার ও দুধকুমারে ২৫ দশমিক ৫৯ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সারডোব বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩০ মিটার অংশ ভেঙে কুড়িগ্রাম সদর ও ফুলবাড়ী উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। সদর উপজেলার যাত্রাপুর এলাকায় দুধকুমারের তীরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। বেশ কিছু পরিবার নদের ভাঙনের শিকার হয়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া তীব্র ভাঙনে ঝুঁকিতে পড়েছে মোঘলবাসা এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। তিস্তার ভাঙন চলছে বজরা থেতরাইসহ কয়েকটি এলাকায়। এসব এলাকায় গত দুই দিনে শতাধিক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছে। অনেকেই রাস্তা ও বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, উজানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় আগামী ২-৩ দিন পানি আরও বাড়তে পারে। বিশেষ করে গত কয়েক দিন ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। ফলে সেখানকার পানি দ্রুত নেমে আসায় কুড়িগ্রামের নদনদীর পানি বাড়ছে। সবগুলো নদ-নদীর পানি বাড়লেও এখন ধরলা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখানে পানি আরও বাড়বে। বিভিন্ন এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।