ধর্ষণ ও আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

ঝালকাঠিতে এক গৃহবধূকে অপহরণ করে ধর্ষণ এবং আপত্তিকর ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে সদর থানা-পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জিয়াউল ইসলাম জিয়া (৩৮) ও মো. সোহেল হাওলাদার (৩২)। দুজনই ঝালকাঠি কবিরাজবাড়ি সড়কের কামরুজ্জামান নাইমের মালিকানাধীন নিউ আজাদ বেকারির কর্মচারী। গতকাল সোমবার সকালে র‍্যাব তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেলে ঝালকাঠি থানায় হস্তান্তর করে। পরে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার পরপরই ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

একটি বাসায় ওই গৃহবধূকে নিয়ে জিয়াউল ইসলাম ধর্ষণ করেন। এ সময় সোহেল হাওলাদারসহ আরও চার-ছয়জন ধর্ষণে সহায়তা করেন। এ সময় ওই গৃহবধূর আপত্তিকর ছবি তুলে রাখেন তাঁরা।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই গৃহবধূর বাড়ি ঝালকাঠি শহরে। দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধূকে ২০১৯ সালের ১৬ অক্টোবর দুপুরে সরকারি হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে থেকে অপহরণ করেন আসামিরা। পরে সেখান থেকে সিটি ক্লাবের পেছনের একটি বাসায় ওই গৃহবধূকে নিয়ে জিয়াউল ইসলাম ধর্ষণ করেন। এ সময় সোহেল হাওলাদারসহ আরও চার-ছয়জন ধর্ষণে সহায়তা করেন। এ সময় ওই গৃহবধূর আপত্তিকর ছবি তুলে রাখেন তাঁরা। মানসম্মানের ভয়ে গৃহবধূ বিষয়টি দীর্ঘদিন চেপে রাখলেও সম্প্রতি আসামি জিয়াউল ও সোহেল ওই গৃহবধূর আপত্তিকর ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করেন।

বিষয়টি ওই গৃহবধূ বরিশাল র‍্যাব-৮-এর কাছে জানালে সোমবার সকালে র‍্যাবের একটি টহল দল কবিরাজবাড়ি সড়কের নিউ আজাদ বেকারিতে অভিযান চালিয়ে জিয়াউল ইসলাম ও সোহেল হাওলাদারকে আটক করে।

ঝালকাঠি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাজমুজ্জামান বলেন, আটককৃত দুজনকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।