ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে খুলনায় মানববন্ধন

ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন
ছবি: প্রথম আলো

খুলনায় সম্প্রতি ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এসবের প্রতিবাদে এবং জড়িত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে আজ মঙ্গলবার দুপুরে মানববন্ধন হয়েছে। এতে বক্তারা বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতার হার দিন দিন বেড়ে চলেছে। বিশেষত ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা প্রতিদিন চোখে পড়ছে। পরিবারের সদস্য, নিকটাত্মীয় দ্বারা নির্যাতনের ঘটনাও অহরহ ঘটছে। নারী ঘরে-বাইরে কোথাও নিরাপদ নয়। কখনো কখনো নারীর প্রতি সংঘটিত নির্যাতনের দায়ভার নারীকেই নিতে হচ্ছে, দোষারোপ করা হচ্ছে তাদের।

খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় গত শনিবার রাতে দুই খালাতো বোনকে হাত-পা বেঁধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পরের দিন রোববার নগরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের এক পরিদর্শকের বিরুদ্ধে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এর আগে ২৯ এপ্রিল এক নারী চিকিৎসকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পেছনে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সুহাস রঞ্জন হালদারের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন

জনউদ্যোগ খুলনা নামের একটি সামাজিক সংগঠনের আয়োজনে মানববন্ধনে এসব ঘটনাকে সামনে এনে বক্তারা বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। নারী ও শিশু ধর্ষণ-নির্যাতনের মতো জঘন্য সব কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, নারীর সুরক্ষায় দেশে যে আইন বিদ্যমান আছে, সেসব আইনের যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না। ফলে নির্যাতনকারীরা নির্যাতন করতে আর ভয় পায় না। আর ধরা পড়লেও আইনের ফাঁকফোকর গলে তারা পার পেয়ে যাচ্ছে। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা দেশের রক্ষণশীল সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি, যা নারীর প্রতি নেতিবাচক ও তাদের ওপর সহিংসতার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে নীতিনির্ধারণের সর্বোচ্চ শক্তি কাজে লাগিয়ে কয়েকজন অপরাধীর শাস্তি বিধান ও কার্যকর হলে চিত্র অনেকটা পাল্টাবে বলে মনে করেন বক্তারা। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জনউদ্যোগ খুলনার নারী সেলের আহ্বায়ক শামীমা সুলতানা। সঞ্চালনা করেন নারীনেত্রী সুতপা বেদজ্ঞ। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিপিবি মহানগর কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর সভাপতি মফিদুল ইসলাম, বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান, খুলনা উন্নয়ন ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ইসরাত আরা প্রমুখ।